আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনায় সোমবার জরুরি সভা

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ম শ্রেণির ৫৮ জন শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনার উত্তেজনার অবসান হয়নি। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল দুই শিক্ষককের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা। সোমবার স্কুল কমিটি জরুরি সভার আয়োজন করেছে।
জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর স্কুল চলাকালীন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষক রনি ৯ম শ্রেণির কক্ষে ঢোকেন। এ সময় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্লাস রুম ঝাঁড়ু দিচ্ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম ঝাঁড়ু দেয়া শেষ হলে ক্লাস করবে বলে জানালে তিনি ফিরে যান। শিক্ষক রনি অফিস রুমে এসে স্কুলের সহকারী শিক্ষক গোলজার হোসেন বাদল ও খাজা উদ্দিনকে জানান। বেত হাতে ক্লাসরুমে গিয়ে কোনো কিছু না বুঝে ওঠার আগেই ছাত্র-ছাত্রীদের বেদম পেটাতে থাকেন তারা। পেটাতে গিয়ে হাপিয়ে গেলে শিক্ষক খাজা উদ্দিন ক্লাসরুমে থাকা ঝাঁড়ুর মুটি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পেটাতে থাকেন। শ্রেণিকক্ষে হট্টগোল ও কান্নার শব্দে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ছুটে আসে। ১০-১২ জন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে এলাকায় ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ নাগদাহ গ্রামবাসী ও অভিভাবক মহল স্কুলে উপস্থিত হয়। শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে ও বিচারের দাবি জানাতে থাকে তারা। স্কুলের ৫৮ ছাত্র ছাত্রীকে পেটানো ঘটনায় এলাকায় আলোচনার সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গায় সহকারী শিক্ষক গোলজার হোসেন বাদলের পরিবর্তে গোলজার হোসেন বকুল লেখায় এই প্রতিবেদক দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে আগামী সোমবার স্কুলের ম্যানিজিং কমিটি জরুরি সভার আয়োজন করেছে।