আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী গ্রামে জামিনে মুক্ত হয়ে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গ্রামে সালিস

 দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার খুদিয়াখালী গ্রামে গাছ বিক্রি নিয়ে মারামারির ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলখেটে বাড়িতে ফিরে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় গ্রামবাসী সালিস বৈঠক করেছে। গতকাল রাত ৮টার দিকে এ সালিস অনুষ্ঠিত হয়ে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর দাবি তুলেছে গ্রামবাসী।
জানা গেছে, গতপরশু সোমবার আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের খুদিয়াখালী গ্রামের ফজলুর ছেলে তৌহিদুল নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। বাড়ি ফিরে ধারালো দা হাতে তার চাচাতো ভাই আলামিন ও তার পরিবারের লোকদের খুঁজতে থাকে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ময়নালের ছেলে ইয়ামিন চুয়াডাঙ্গা থেকে ফুটবল খেলা দেখে বাড়িতে এলে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ওপর ফেলে বেদম পেটাতে থাকে তৌহিদুল। তার চিৎকারে ইয়ামিনের বড় ভাই আলামিন, ভাবি ইরানি, মা আকলিমা ও বোন সোনালী বাধা দিলে তাদেরও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। আহত আলামিন ও তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে জানান, তার চাচা ফজলু, আইজাল, চাচাতো ভাই তৌহিদুল, ফরজ, আব্দুল, চাচাতো বোন আয়েশা, আসানুর, চাচি আমিরন ও চাচাতো ভগ্নিপতি সানোয়ার তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। তারা নিজেরা আমাদের মেরে এখন নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রাতেই আলামিনের পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গ্রামবাসী জানায়, আলামিনের পরিবারের লোকজনদের পিটিয়ে আহতই করেনি, রাতে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও গয়না লুটপাট করেছে ফজলু গ্রুপ।
গতকাল রাত ৮টার দিকে খুদিয়াখালী গ্রামবাসী গ্রামের শান্তি নষ্ট ও একই পরিবারের ৫ জনকে জখমের ঘটনার প্রতিবাদে সালিসের আয়োজন করে। সালিসে মাতবররা বলেন, গ্রামের কাজী গ্রুপ নামে পরিচিত ব্যক্তিরা নিজেদের মধ্যে মারামারি হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটিয়ে গ্রামের শান্তিপ্রিয় মানুষের শান্তি নষ্ট করেছে। তাদের অত্যাচারে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। এছাড়া গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আলোচনা করা হয়। গ্রামবাসী তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে। ওই সালিসে উপস্থিত ছিলেন- জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন, জেলা শ্রমিক নেতা ইসলাম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা শাকের মল্লিক, গাজির উদ্দিন, হামিদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন, সাবেক মেম্বার সুমনসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ গ্রামবাসী।