প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে নারীসহ আহত ৩

আলমডাঙ্গার পল্লি ফুলবগাদী ও বড় গাংনীর দু পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে এক নারীসহ আহত হয়েছে তিনজন। আহত নারী রুনা খাতুন (৩২) ও আব্দুর রহমানকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রুনা খাতুনের অবস্থা ছিলো আশঙ্কাজনক। শরিকি জমি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে গতকাল রোববার বিকেলে আলমডাঙ্গার পল্লি ফুলবাড়ি ঈদগা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় অপরপক্ষের একজন গাংনীর ইছমোল্লার ছেলে আয়তাল সামান্য আহত হলে তাকে আসমনাখালী বাজারের চিকিৎসকের নিকট নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয়রা বলেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ফুলবগাদী গ্রামের মৃত ফয়জউদ্দীন ম-ল ও পার্শ্ববর্তী বড় গাংনীর ইছামোল্লাহ পরস্পর আত্মীয়। উভয়ের শরিকি জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ফুলবগাদী ও গাংনীর মাঠে ৬ বিঘা জমি ইছামোল্লার ছেলেরা আবাদ করে। মৃত ফায়জউদ্দীনের ছেলেরাও ওই জমিতে আবাদ করার জন্য দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল রোববার সকালে ট্রাক্টর নিয়ে ফায়জুদ্দিনের কয়েক ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা মাঠের ওই জমি চষতে শুরু করে। খবর পেয়ে ইছামোল্লার ছেলেরা গ্রামের ঈদগা মাঠের নিকট অবস্থান নেয়। বিকেলে অপরপক্ষ ঈদগার নিকট পৌঁছুলে তাদের ওপর হামলা চালায়। শুরু হয় মারামারি। এতে মৃত ফায়জ উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহমান (৭০), আতিয়ার মোল্লা (৬৫) ও মতিয়ার রহমানের স্ত্রী রুনা খাতুন (৩৫) আহত হয়। এদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। রুনা ও আব্দুর রহমানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। গতকালই এদেরকে রাজশাহীর উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। অপরদিকে গাংনীর ইছামোল্লার ছেলে আয়তাল আহত হলে তাকে আসমানখালী বাজারের চিকিৎসকের নিকট নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে গ্রামে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে।