চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বন্ধ থাকা ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ

এক্সরে আল্ট্রাসনোগ্রামের জন্য রোগীরা পড়ছে ভোগান্তিতে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ডায়েরিয়া ওয়ার্ডে নতুন করে চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ওয়ার্ডটি গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিলো। বর্তমানে ডায়েরিয়া রোগীদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে মেডিসিন ওয়ার্ডে। এজন্য ওয়ার্ডের পরিবেশ যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি রোগীদের পোহাতে হচ্ছিলো ভোগান্তি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নবাগত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবিরের বিশেষ উদ্যোগে সেটা খালি করা হয় ডায়েরিয়া রোগীদের জন্য। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সেটা চালু করা হবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে এক্স-রে ফিল্ম না থাকায় গরীব রোগীরা পড়ছেন বিপাকে। দেড়মাস আগে নতুন ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি স্থাপন করলেও মেশিন চালনায় কোনো এক্সপার্ট না থাকায় ও বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের কারণে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি চালানো সম্ভব হচ্ছেনা বলেও জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি চালু করতে হলে নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগ নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তারা জানান। হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও নিয়োগ প্রাপ্ত কোনো জুনিয়র কনসালটেন্ট না থাকায় হাসপাতালের একজন কনসালটেন্ট দিয়ে মাসে ৫-৬দিন চালানো হয়। হাসপাতালে এসব পরীক্ষা না করানোর ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছু একবারে সম্ভব না। আমাদের জনবলের অভাবে চিকিৎসা দিতে কিছুটা ব্যাহত হলেও চেষ্টা করছি যতোদ্রুত সম্ভব এর সমাধান করার।