রোহিঙ্গাদের নাম-নিশানাও রাখতে চায় না মিয়ানমার

স্টাফ রিপোর্টার: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে কেবল নির্মূলই নয়, তাদের ফিরে যাওয়া ঠেকাতে সুপরিকল্পিতভাবে অভিযান ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল বুধবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দফতরের (ওএইচসিএইচআর) ‘র্যা পিড রেসপন্স মিশন’-এর প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। মিশনটি গত ১৩ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ৬৫ ব্যক্তির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি করে। গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার বাহিনী রাখাইন রাজ্যে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণসহ গণহত্যা শুরুর পর বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা ঢল শুরু হয়। র্যা পিড রেসপন্স মিশন নেতা থমাস হুনেকে বলেন, ‘রাখাইনে গণহত্যা চলছে কি চলছে না তা আমরা যাচাই করিনি। তবে রোহিঙ্গারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে তা অগ্রাহ্য করা ঠিক হবে না। ’ আহতদের সেবাদানকারী চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে থমাস বলেন, যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছে, তাদের আবার ফিরে যাওয়া ঠেকাতেই খুব সম্ভবত মিয়ানমার বাহিনী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সীমান্তে স্থলমাইন পেতেছে। এদিকে ইয়াঙ্গুনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমারের অনলাইনে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল শুরুর পর মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় দেড় কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর ওই পরিকল্পনা ঘোষণা করে। অন্যদিকে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের এশিয়া ও প্রশান্ত অঞ্চল বিভাগের প্রধান জ্যোতি সংঘ্র গতকাল জেনেভায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফিরে গেলে তাদের অন্তরীণ করে রাখা হতে পারে।