বরের অনুপস্থিতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে মোমিনপুরের কাজি আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে

ভালাইপুর প্রতিনিধি: কাজির বাড়িতে বর বা বর পক্ষের লোকজন উপস্থিত না হলেও, কনে ও কনে পক্ষের লোকজনের সম্মতিতে দেড় লাখ টাকায় বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। মোমিনপুর ইউনিয়নের কাজি আব্দুর রহমান বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন চুয়াডাঙ্গা হুচুকপাড়া গ্রামের ফয়জুল ইসলামের ছেলে হুমায়ন আহম্মেদ। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে কাজির বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়নের হুচুকপাড়া গ্রামের ফয়জুল ইসলামের ছেলে হুমায়ন আহম্মেদের সাথে গত এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রংপুর জেলার জয়দেব উত্তরপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সেলিনা খাতুনের। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় পারিবারিক কলহে তালাক হয়ে যায় তাদের মধ্যে। গত ২৫ আগস্ট আবারও চুয়াডাঙ্গা ইসলামপাড়ার ঠিকানা ব্যবহার করে বর হুচুকপাড়া গ্রামের ফয়জুল ইসলামের ছেলে হুমায়ন আহম্মেদ বা তার আত্মীয় স্বজনের অনুপস্থিতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসার পিয়ন মোমিনপুর ইউনিয়নের কাজি আব্দুর রহমান ওই বিয়ে পড়ান।
এ বিষয়ে কাজি আব্দুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা ইসলামপাড়ার ঠিকানা ব্যবহার করে সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সেলিনার বিয়ে হয় আমার বাড়িতে বসেই। সে সময় অন্য একটি ছেলেকে বর সাজিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। আমি তো জানিনা ওই ছেলে আলুকদিয়া ইউনিয়নের হুচুকপাড়া গ্রামের ফয়জুল ইসলামের ছেলে হুমায়ন আহম্মেদ কি-না। এখন আপনাদের কথামত হুমায়ন আহম্মদের সাথে দেখা হলে বুঝতে পারি সেদিনের বিয়ের বর আসলে হুমায়ন আহম্মেদ কি অন্যজন।
এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, কাজিরা যদি টাকার বিনিময়ে এভাবে বর বা কনের অনুপস্থিতে বিয়ে পড়িয়ে কাবিননামা দিতে পারেন তাহলে তো বিনা কারণে অনেক ছেলে মেয়েই বিপদে পড়তে পারে। এই অবৈধ কর্মকা-ের প্রতিবাদ জানিয়ে কাজির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।