নৌকাডুবি : ১০ শিশুসহ ১৩ রোহিঙ্গার লাশ

স্টাফ রিপোর্টার: কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩, যাদের মধ্যে দশজনই শিশু। টেকনাফ থানার ওসি মাইনুদ্দিন খান জানান, গত রোববার রাতে নাফ নদীর গোলারচর পয়েন্টে ওই দুর্ঘটনার পর দুইজনের লাশ পেয়েছে তারা। গতকাল সোমবার সকালে আবারও তল্লাশি শুরুর পর নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে আরও নয়টি লাশ পাওয়া যায়।

নিহত ১৩ জনের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুইজন নারী, বাকিরা সবাই শিশু। এখনও ২০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে উদ্ধার পাওয়া রোহিঙ্গাদের বরাতে জানিয়েছেন ওসি। বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমারের দিক থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটি রোববার রাত ১০টার দিকে গোলারচর পয়েন্টে এসে ডুবে যায়। ঘটনার পরপরই আটজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা বলেছেন, ওই নৌকায় ৪০ জনের মতো নারী, পুরুষ ও শিশু ছিলো। নৌকাটি মিয়ানমারের মংডুর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে বাংলাদেশের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্টে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলো। এ সময় উত্তাল সাগরে শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদের ঘোলারচর পয়েন্টে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও শাহপরীর দ্বীপে দায়িত্বরত স্টেশন কোস্টগার্ড।

টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, নৌকাডুবির খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড ও পুলিশের সদস্যরা ঘোলারচর ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালান। এখনো বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাদের নির্যাতনের কারণ এবং খাদ্যাভাবে রোহিঙ্গারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনো নাফ নদ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসছে।