অভিনব কৌশলে প্রতারণা ॥ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় এসে হলো না শেষ রক্ষা

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতার পিএস বলে পরিচয় দিয়ে দয়া দাক্ষিণা নেয়া প্রতারক পাকড়াও

স্টাফ রিপোর্টার: জীবিত মাকে কখনো মৃত বলে দাবি করে খানার নামে চাঁদা আদায়, কখনো অন্যের সন্তানকে অসুস্থ সাজিয়ে নিজেকে সাবেক বনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাসান মাহমুদের পিএস পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলো ইমান হাসান নামের এক যুবক। একই কৌশলে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়রকে বোকা বানাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে সে। গতকাল সোমবার তাকে চুয়াডাঙ্গা পৌর পৌরসভার মেয়রের কার্যালয় থেকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করেছে ক্ষমতাসীনদলের পদস্থ নেতা ও সরকারের দায়িত্বে নিয়োজিত বেশ কিছু ব্যক্তির সিলসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি চেক। আটক ঈমাম হাসান (৩০) পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গিয়াবলি গ্রামের মৃত মুকুল হাওলাদারের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওব্য়াদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় মোবাইলে সাবেক বনমন্ত্রীর পিএস শ্যামল পরিচয় দিয়ে আমার কাছে ফোন দেয়া হয়। এ সময় মন্ত্রীর পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি আমাকে জানান, আমি একটি ছেলেকে পাঠিয়েছি তাকে একটু আর্থিকভাবে সহযোগিতা করবা। ফোনে কথা বলার ২০ মিনিট পর একটি ছেলে আমার কাছে এসে মন্ত্রীর পিএসের একটি ভিজিডিং কার্ড দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা দাবি করেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে আমি হাসান মাহমুদকে সরাসরি ফোন করি। এ সময় প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আমি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই প্রতারককে আটক করে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ঈমাম হাসান কখনো নিজের জীবিত মা মারা গেছে বলে দাবি করে কুলখানির জন্য প্রতারণা করে টাকা তোলে, কখনো অন্যের সন্তান অসুস্থ বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতার পিএস বলে দাবি করে টাকা দিয়ে সহযোগিতার জন্য বলে নিজেই ছদ্মবেশে হাজির হয়। এছাড়া বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যাক্তির সিল স্বাক্ষর করেও প্রতারণা করে আসছিলো।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, গ্রেফতারের পর ঈমাম স্বীকার করেছেন গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি চুয়াডাঙ্গাতে অবস্থান করে বিভিন্ন সরকারি দফতরে মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে একইভাবে মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে সহযোগিতার আবেদন করেছে। আটকের পর তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে নিয়মিত মামলার প্রক্রিয়া চলছে।