শান্তিতে নোবেল পেলো পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রচারণা সংস্থা ইকান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শান্তিতে নোবেল পেয়েছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ প্রচারাভিযান (আইসিএএন)। গতকাল শুক্রবার নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছে। তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) একটি জোট হিসেবে নিজেদের পরিচিতি দেয় দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনস (আইসিএএন)। শত শত এনজিওর এই জোট প্রায় ১০ বছর ধরে শতাধিক দেশে কাজ করছে। জেনেভাভিত্তিক এই গোষ্ঠী অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম কাজ শুরু করে। ২০০৭ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভিয়েনায় কাজ শুরু করে। আইসিএএন নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে পাবে ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার। আগামী ডিসেম্বরে নোবেল কমিটির আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইসিএএনের হাতে একটি মেডেল তুলে দেয়া হবে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা দেয়ার অনুষ্ঠানে নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি বলেছে, বর্তমান বিশ্বে পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। উত্তর কোরিয়ার কথা উল্লেখ করে কমিটির নেতা বেরিট-রিজ-অ্যান্ডারসন বলেন, ‘আমরা এমন একটি বিশ্বে বাস করি, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের ঝুঁকি আগের চেয়ে অনেক বেশি।’

বেরিট-রিজ-অ্যান্ডারসন বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণে চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী প্রচেষ্টার’ জন্য আইসিএএনকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এ সময় পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশগুলোকে এসব অস্ত্র পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করার জন্য আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান নরওয়েজীয় নোবেল কমিটির এই নেতা। গত জুলাইয়ে পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ ও পর্যায়ক্রমে সেগুলো ধ্বংস করার জন্য প্রণীত জাতিসংঘের একটি চুক্তি ১২২টি দেশ গ্রহণ করে। পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী নয়টি দেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। এসব দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও রয়েছে। প্রতিবছর অক্টোবরে ঘোষণা করা হয় নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম। এ বছর চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন ও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হয়ে গেছে। জানা হয়ে গেছে কারা পুরস্কার পেলেন। বাকি ছিলো শান্তি ও অর্থনীতিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণার। এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো।