স্টাফ রিপোর্টার: দেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় শিল্পপতি সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত হাজি মোজাম্মেল হকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত কুলখানিতে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদজুম্মা দৌলাতদিয়াড়স্থ বঙ্গজ বিস্কুট লিমিটেডের অভ্যন্তরে আয়োজিত খানায় চরম ভিড়ে হুড়োহুড়ির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিসহ ভাঙচুর শুরু হয়। পরস্থিতি বেগতিক দেখে আমন্ত্রিতদের অধিকাংশই খাওয়া বাদ দিয়ে ফিরতে শুরু করেন। বিকেলে অবশ্য উদ্বৃত্ত খাবার বিভিন্ন মাদরাসায় সরবরাহ করা হয়। মাদরাসার উদ্দেশে পাঠানো খাবারের কিছু অংশ পথিমধ্যে নামিয়ে নেয়ারও ঘটনা ঘটে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বঙ্গজ-তাল্লু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজি মোজাম্মেল হক গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ৬ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। এর আগে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মুসল্লির ঢল নামে। বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কানামায় ৮ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা ইমার্জেন্সি সড়কস্থ নিজ বাড়িতে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ছিলো কুলখানি। বঙ্গজ বিস্কুট লিমিটেডের অভ্যন্তরে কয়েক হাজার মানুষের দুপুরের খাবার আয়োজন করা হয়। বঙ্গজ এলাকায় দেয়া হয়ে কয়েকশ টোকেন। দুপুর হওয়ার আগে থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা বঙ্গজ প্রাঙ্গণে সমবেত হতে শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, জুম্মার নামাজের পর বঙ্গজ বিস্কুট লিমিটেডের মূল দরজা খুলতেই হুড়োহুড়ি করে অসংখ্য মানুষ ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে যতোজনের বসার ব্যবস্থা করা হয়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ দাঁড়িয়ে থাকার কারণে বিশৃঙ্খল পরিবেশ ফুটে উঠতে শুরু করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি আয়োজকদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শুরু হয় চেয়ার ভাঙচুরসহ ধাক্কাধাক্কি। খাওয়া-দাওয়া না দিয়ে আয়োজকদের তরফে পরিস্থিতি শান্ত করার পুনঃপুন চেষ্টা চালিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরঞ্চ দ্বিতীয় দফা উপস্থিত জনতার বিশাল অংশ যেন ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেন। ফলে উপস্থিত মুসল্লিরা খাওয়া বাদ দিয়ে ফিরতে শুরু করেন। শেষে উপস্থিত কিছু মানুষকে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও রান্না করা খাবার ডেস্কি ভর্তিই থেকে যায়। উদ্বৃত্ত ওই খাবার মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রেরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পথেও দু ডেস্কি খাবার রাস্তা থেকে নামিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
কুলখানিতে হট্টগোল সম্পর্কে আয়োজকদের তরফে তেমন কোনো মন্তব্য করা হয়নি।