চুয়াডাঙ্গা বাটিকাডাঙ্গার ফারুকের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন ॥ মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের ৪ সন্তানের জনক মুদিদোকানি ফারুকের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে তিনি যদি অসুস্থই হবে তাহলে বিলের মধ্য ওই জায়গায় গিয়ে কেন আত্নহত্যা করবেন? তিনি কি আতœহত্যা করেছেন? না কি অসহায় পরিবারের কেউ নেই বলে আত্নহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে?
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের মাঝেরপাড়ার বিল্লাল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শুক্রবার বাদ আছর জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তর জন্য শুধুমাত্র শরীরের হাড্ডিযুক্ত কাদামটি ছিলো। হতদরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে আরও হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরিবারের লোকজন। ফরুকের মৃত্যু নিয়ে অসহায় পরিবারের তেমন কোনো জোরাল অভিযোগ না থাকলেও নানা কথা বাতাসে ভাসছে। অনেকেরই অভিমত ফারুক হোসেন ছিলো একজন সহজসরল মানুষ। কি দিয়েই বা আতœহত্যা করলেন?
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২৪ আগস্ট ফজরের নামজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ফারুক হোসেন। সে থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের লোকজন সাধ্যমতো সন্ধান করেছেন। পরিবারে এমন কোনো লোক ছিলো না যে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে জিডি করবে। নিখোঁজের ৪৩ দিনের মাথায় মধুবিলের বুক সমান পানি নির্জন ধঞ্চের মধ্য থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। তার পোশাক-আশাক দেখে পরিবারের লোকজন ফরুককে শনাক্ত করেন।
গ্রামসূত্রে জানা গেছে, বিল্লাল হোসেন ভূমিহীন। ভূমিহীন হিসেবে সাড়ে ১২ শতক জমি পান তিনি। সেই জমি নিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মামলা চলে আসছে একই গ্রামের তাহাজেল বিশ্বাসের ছেলে ওদুদ বিশ্বারে সাথে। আর ওই মামলা দেখভাল করতেন ফারুক হোসেন। নিম্ন আদালতের রায় বিল্লাল হোসেনর পক্ষে যায়। বিষয়টি নিয়ে ওদুদ উচ্চ আদালতে আপিল করেন। অসহায় বিল্লাল টাকার অভাবে মামলার কোনো খোঁজখবর পর্যন্ত নিতে পারেননি। তবে ওদুদের ভূমিহীনের বসতভিটা নিয়ে টানাহেঁচড়া করার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি গ্রামবাসী। তাই অসহায় পরিবারের পক্ষে গ্রামবাসীর দাবি ফারুক হোসেনর মৃত্যুর রহস্য নিয়ে যেন পুলিশ নজরদারি করে। এ বিষয়ে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই লিটন গাজী বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।

Leave a comment