স্টাফ রিপোর্টার: চুুয়াডাঙ্গার জীবনা ও ভুলটিয়ায় পুকুরে মাছ পাহারা দেয়ার আড়ালে মাছ চুরি করার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। জালসহ ৪ জনকে ধরে সালিসের উদ্যোগ নেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে চুুয়াডাঙ্গার ভুলটিয়া কেটের বিল নামকস্থানে। যাদেরকে বিশ্বাস করে পাহারার দায়িত্বে দেয়া হয়েছে, তারাই বিশ্বাসের বরখেলাপ করে মাছ ধরে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছে শুনে মাছ চাষিদের মাথায় হাত উঠেছে।
জানা গেছে, চুুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের জীবনা গ্রামের আবুল বিশ্বাসের ছেলে লাবলু, সমচের ম-লের ছেলে আয়না হক তাদের পুকুরে ছাড়া মাছ রাতে পাহারা দেয়ার জন্য জীবনা গ্রামের বজলুর জামাতা লিটন ও ভুলটিয়া গ্রামের ইয়াকুবার আলীর ছেলে নজির, বজিল ও শাহাবুদ্দিনের ছেলে সিরাজুল আলীকে মাসিক বেতন দিয়ে রাখা হয়। মাছ পাহারা দেয়ার আড়ালে গোপনে রাতে বা দিন দুপুরে দীর্ঘদিন ধরে ফাস জাল দিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করে আসছিলো। গোপনে এ তথ্য পেয়ে গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে কুতুবপুর ইউনিয়নের জীবনা গ্রামের লাবলু আয়না হকের ভুলটিয়া কেটেরবিল নামকস্থানের পুকুরে ফাস জাল দিয়ে মাছ চুরি করে ধরার সময় জীবনা গ্রামের বজলুর জামাতা লিটন ও ভুলটিয়া গ্রামের ইয়াকুবার আলীর ছেলে নজির, বজিল ও শাহাবুদ্দিনের ছেলে সিরাজুল আলীকে জালসহ হাতে নাতে আটক করে নিয়ে আসা হয় বদরগঞ্জে বাজারে। তাদেরকে বাজারের জনতার সামনে জিজ্ঞেসা করা হলে জীবনা গ্রামের বজলুর জামাতা লিটন জানায়, গত কয়েক মাস আগে আমি সহপাঠীদের সহযোগিতায় দুই হাড়ি মাছের রেনু পোনা ভুলটিয়া গ্রামের এক আ.লীগ নেতার কাছে চুরি করে বিক্রি করেছি। অপরদিকে ভুলটিয়া গ্রামের নজির ও সিরাজুল আলী দীর্ঘদিন মাছ পাহার দেয়ার অন্তরালে থেকে পুকুর মালিকের মাছ চুরি করে বিক্রির করে আসছিলেন বলে জনতার সামনে সত্যতা জানায় তারা। পাহারদারা কর্তৃক পুকুর থেকে মাছ চুরি মালিককে সর্বশান্ত করে ফেলেছে তারা। এ অভিযোগ সত্যতা প্রমাণ হওয়াই তাদেরকে বেধড়ক প্রহার করে বদরগঞ্জ বাজারে আটক করে রাখা হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময় রাতে বাজারের কমিটির সহযোগিতায় মাছ চুরি কর্তৃক নিয়ে সালিসী বৈঠক বসার প্রস্তুতি চলছিলো। এ বিষয়ে জীবনার মাছ চাষি লাবলুর মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, মাছ চুুরি ও চোর কর্তৃক বিষয়ক নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সালিসী বৈঠক বসানো হবে। অভিযুক্তদের তাদের আত্মীয়স্বজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।