দামুড়হুদার ভগিরথপুরে স্বামীর পরকীয়ার জের : আসলেই কী বিষপান না-কি অন্য কিছু?

হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তির তিনদিন পর মৃত্যু : রহস্য উন্মোচনে পুলিশ
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ভগিরথপুরে স্বামীর ওপর অভিমান করে রেক্সোনা খাতুন (৩২) নামের এক গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। দু সন্তানের জননী নিহত গৃহবধূ রেক্সোনা দামুড়হুদার ভগিরথপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের স্ত্রী। গত রোববার স্বামীর ওপর অভিমান করে তিনি বিষপান করেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে বিষ উত্তোলন করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্বামীর বাড়িতেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। বিকেলে দামুড়হুদা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। আজ বৃহস্পতিবার নিহত ওই গৃহবধূর লাশের ময়নাতদন্ত করানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের ভগিরথপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে সোহরাব হোসেনের সাথে ১৮ বছর আগে পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর জেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত আসান মন্ডলের মেয়ে রেক্সোনা খাতুনের বিয়ে হয়। স্বামী সোহরাব বেশকিছু দিন আগে নিকটবর্তী হোগলডাঙ্গা গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে পরকীয়া সর্ম্পক গড়ে তোলে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। গৃহবধূ রেক্সোনা কয়েকবার পিতার বাড়িতে চলে গেলেও স্বামীর সংসারে পুনরায় ফিরে আসেন। এরই এক পর্যায়ে বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে গত রোববার স্বামীর ওপর অভিমান করে গৃহবধূ রেক্সোনা বিষপান করেন। সোহরাব প্রথমে আলমসাধু চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে তিনি বিলের নৈশ প্রহরীর কাজ করেন। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। ছেলে খাইরুল ইসলাম দশম শ্রেণিতে এবং মেয়ে খাদিজা (৭) প্রথম শ্রেনিতে পড়াশোনা করে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ বলেন, মূলত বিষপানে না-কি অন্যভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি নিশ্চিত হতেই লাশের ময়নাতদন্ত করানো হবে।

Leave a comment