ডিঙ্গেদহের বারি ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছেন দু সন্তানের জননী আয়েশা বেগম

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ডিঙ্গেদহের বারী ডাক্তারের দেয়া চিকিৎসা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছেন বালিয়াকন্দির গৃহবধূ দু সন্তানের জননী আয়েশা খাতুন (২৫)। গতরাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বা আয়েশা খাতুনকে এমএমকিট নামক ওষুধ সেবন করানোর কারণে তার গর্ভের সন্তান গর্ভেই মারা যাওয়ার পাশাপাশি অনাবরত রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আওলিয়ার রহমান এ মন্তব্য করে বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বা রোগীর ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এ ধরনের ভুল চিকিৎসা দেয়া মানে একজন মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বালিয়াকান্দি শেখপাড়ার মামুন শেখের স্ত্রী আয়েশা খাতুন দু সন্তানের জননী। ছোট সন্তানের বয়স এক বছর পূর্ণ হতে এখনও কয়েকদিন বাকি। এরই মাঝে আয়েশা খাতুনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ঋতুস্রাব নিয়মিত না হওয়ায় চিকিৎসা নিতে তিনি ডিঙ্গেদহের আব্দুল বারী ডাক্তারের নিকট যান। আয়েশা খাতুন বলেছেন, কয়েকটি বড়ি এক সাথে খেতে বলেন ওই ডাক্তার। তা খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় শুরু হয় রক্তক্ষরণ। মাত্রারিক্ত রক্তক্ষরণে আয়েশা খাতুনের শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। গতকাল হাসপাতালে ভর্তির পর রক্ত দেয়া হয়। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করানো হয়। অবশেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
রোগীর দশা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, প্রথমেই বড় ধরনের ভুল চিকিৎসার কারণেই রোগীর ভবিষ্যত এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে।

Leave a comment