জীবননগরে আনাড়ি চালকদের হাতে ইটভাটার ট্রাক্টরে বেপরোয়া গতি

 সড়কে ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা : ঝরছে প্রাণ
জীবননগর ব্যুরো: বেশ কয়েক বছর ধরে জীবননগরের ইটভাটাগুলোর ট্রাক্টর চলছে আনাড়ি চালক দিয়ে। আনাড়ি এসব চালকেরা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছে ট্রাক্টর। দুরন্তগতির এসব ট্রাক্টরের ভয়ে-আতঙ্কে দিন কাটে এ উপজেলার সড়ক-মহাসড়কে চলাচলরত পথচারীদের। প্রায় ঘটায় দুর্ঘটনা। সর্বশেষ বেপরোয়া গতির ইটভাটার ট্রাক্টরে পিষ্ট হয়ে প্রাণ ঝরলো মাদরাসাছাত্রী শুকতারার। আনাড়ি চালকের কারণে অকালে ঝরে গেলো তরতাজা একটি প্রাণ। দাবি উঠেছে বেপরোয়া গতিতে চলাচলরত এসব ট্রাক্টরের গতি নিয়ন্ত্রণসহ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের।
ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, জীবননগর উপজেলায় প্রায় ২০টির মতো ইটাভাটা রয়েছে। পূর্বে এসব ইটভাটার ইট, বালি ও মাটিবাহি ট্রাক্টরগুলো গতিসীমার মধ্যে চলাচল করতো। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে হঠাত করে এসব ট্রাক্টরের গতিসীমা বেড়ে গেছে। সেই সাথে আনাড়ি চালক দিয়ে চালানো হচ্ছে ট্রাক্টর। ট্রাক্টরের সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার থাকলেও বেপরোয়াভাবে ৮০ কিলোমিটার বেগে চালানো হচ্ছে। সেই সাথে মহাসড়কে দেয়া হচ্ছে পাল্লাপাল্লির প্রতিযোগিতা। যার ফলে সড়কে চলাচলরত ছোট যানবাহন ও পথচারীরা একপ্রকার আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করে। ট্রাক্টরের গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এদেরকে বলা হলেও ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়াতে তারা তাতে কোনো কর্ণপাত করে না। ফলে সড়ক-মহাসড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। চলতি বছরের প্রথম দিকে জীবননগর হাসপাতালের সামনে ইটভাটার বালিবাহি ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন উপজেলার গয়েশপুরের তরুণ পুলিশ কনস্টেবল। গত শুক্রবার দেহাটিতে নিহত হন পোস্টঅফিসপাড়ার ভ্যানচালক আজিবার। সর্বশেষ নিহত হলো হাসাদহের মাদারাসাছাত্রী শুকতারা। এছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই সড়ক-মহাসড়েক ইটভাটার এসকল ট্রাক্টর ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও অকালে প্রাণ হারানো রোধে ইটভাটার বেপরোয়া এসব ট্রাক্টরের গতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনাসহ প্রশিক্ষিত চালক দিয়ে ট্রাক্টর চালানোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।