স্টাফ রিপোর্টার: শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহানবমী। রামায়ণ যুগের অবতার রামচন্দ্র লংকা অধিপতি রাবণ বধের পর নবমী তিথিতে ১শ ৮টি নীল পদ্ম দিয়ে দেবী দুর্গার পূজা করেছিলেন। তাই আজকের এই মহানবমীতে ষোড়শ উপাচারের সাথে ১শ ৮টি নীলপদ্মে দুর্গা পূজিত হবেন। ধর্মের গস্নানি ও অধর্ম রোধ, অসুর বধ এবং ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা ভক্তদের মধ্যে আবির্ভূত হন। একটি মাত্র রাত পড়ে মা দুর্গা আবার ফিরে যাবেন।
আজ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মধ্যে দেবী দুর্গার মহানবমী কল্পরম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজা প্রশস্ত্মা। পূজা শেষে বেলা ১১টা থেকে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি প্রদান শুরু করবেন। দুপুরে অঞ্জলি প্রদান শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। ১০৮টি নীলপদ্ম, অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে সব পূজামণ্ডপে নবমী বিহিত পূজা সম্পন্ন হবে। নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহূতি দেয়া হয়। ১০৮টি বেলপাতা, আমকাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ সম্পন্ন করা হবে। সনাতন ধর্ম মতে, নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয়। মহানবমীতে ভক্তরা মায়ের কাছে দেশ, জাতি ও বিশ্বের সব জীবের মঙ্গল কামনায় আশীর্বাদ চাইবেন।
এদিকে ধর্ম ও সমাজের নানা সংস্কারের দোহাই দিয়ে নারী নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেবী দুর্গার ‘কুমারী’ রূপের আরাধনায় নারী শক্তি জাগরণের প্রার্থনা করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বৃহস্পতিবার দুর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিনে সারা দেশের রামকৃষ্ণ মিশনগুলোতে ‘কুমারী’ দেবীর আরাধনায় মহাষ্টমী তিথি পালিত হয়। এই তিথিতেই ‘শুদ্ধাত্মা’ দেবী দুর্গার প্রতীক হিসেবে কুমারী কন্যাকে মাতৃরূপে অঞ্জলি দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা, যার নাম কুমারীপূজা। সাধারণত রামকৃষ্ণ মিশনগুলোই এ পূজার আয়োজন করে। বেলা ১১টার দিকে কুমারীপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মণ্ডপে ভক্তদের ভিড় দেখা যায় সকাল থেকেই।