চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে বখশিশের নামে আবারও শুরু হয়েছে জোরপূর্বক টাকা আদায়। সন্তান প্রসবের পরপরই ওয়ার্ডের আয়া ও নার্সরা কৌশলে রোগীর লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন। অহরহ এ ঘটনা ঘটলেও কেউ অভিযোগ করার জায়গা পান না। অভিযোগের জন্য দেয়ালে একটা মোবাইল নম্বর দেয়া থাকলেও ওয়ার্ডের আয়ারা ওই নম্বরের একটা ডিজিট মুছে ফেলেছেন। যাতে কেউ ওই নম্বরে কল দিতে না পারেন।

অভিযোগকারীরা জানান, হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে কারো সন্তান হলেই বকশিশের নামে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। অভিযোগ আছে, নার্সরা সরাসরি দেনদরবার না করলেও তাদের পরামর্শ থাকে। তারা মৌন অবস্থানে থাকলেও ওয়ার্ডের আয়ারা রোগীর লোকজনের কাছ থেকে এক রকম জোরজুলুম করেই টাকা আদায় করেন। মেয়ে সন্তান এবং ছেলে সন্তান হলে আলাদা আলাদা রেটে টাকা আদায় করেন তারা। ৫শ থেকে এক দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত নেন তারা। এছাড়া নাস্তা, সাবান শোডাও নিয়ে থাকেন তারা।

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের ভগিরথপুর ব্রিজপাড়ার ফটিকের স্ত্রী গুলশান আরা গত সোমবার রাত ২টার দিকে পুত্রসন্তান প্রসব করেন গাইনি ওয়ার্ডে। রাতেই দুই আয়া আদুরি ও মায়া গুলশান আরার কাছে বকশিশ চান। গুলশান আরা অভিযোগ করেন, আমরা প্রথমে ২শ টাকা দিতে চাই। কিন্তু তারা তা নেন না। পরে ওই দুই আয়া আমাদের কাছ থেকে ৭ ৮০ টাকা আদায় করেন। এ বিষয়ে গুলশান আরা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শামীম কবীরের কাছে অভিযোগ করেন। ডা. শামীম কবীর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।