চুয়াডাঙ্গা জজশিপে তিন বিচারককে সংবর্ধনা সভায় জেলা ও দায়রা জজ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ রবিউল ইসলাম বলেছেন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই বিচারকরা অঙ্গিকারবদ্ধ। এখানে বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। বিচারক ও আইনজীবীরা মিলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবো। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নবাগত তিন বিচারককের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ রবিউল ইসলাম এ মন্তব্য করেন। চুয়াডাঙ্গা জজশিপে নবাগত তিন বিচারক হলেন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ বেগম শাহানাজ সুলতানা এবং সহকারী জজ সাজেদুর রহমান অতি সম্প্রতি যোগদান করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মহ. শামসুজ্জোহা (পিপি) । সংবর্ধনা সভায় নবাগত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম শাহানাজ সুলতানা ও সহকারী জজ সাজেদুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এ সময় যুগ্ম জেলা জজ আব্দুর রহিম ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান, আলমগীর হোসেন ও এমএম শাহজাহান মুকুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিউর রহমান, আবুল বাশার, শামীম রেজা ডালিম ও হেদায়েত হোসেন আসলাম, সিনিয়র আইনজীবী মোল্লা আব্দুর রশিদ (জিপি), মো. মনিরুজ্জামান ও মোসলেম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
জেলা ও দায়রা জজ রবিউল ইসলাম প্রধান অতিথির আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী এবং মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার। এখানে চাকরি করাটাও গর্বের। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ১ম পরিবেশনকারী এই বারের সদস্য অ্যাডভোকেট মুনছুর উদ্দিন মোল্লা অংশ নিয়েছিলেন। আমি তাকে শ্রদ্ধাভরে সম্মান করি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করায় আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সংবর্ধনার জবাবে নবাগত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আমার মেধা ও প্রজ্ঞা আমি ঢেলে দিয়ে কাজ করে যাবো। জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেসির সমস্যা অনেক। ম্যাজিস্ট্রেট কম। আমি আইনজীবী সমিতির সহায়তা নিয়ে সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো।
চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা ও দায়রা জজ-১ বেগম শাহানাজ সুলতানা বলেন, পেশকার ও পুলিশ কাউকে টাকা দেবেন না। আল্লাহ আমার রিজিক বিচারক হিসেবে লিখে রেখেছেন। তাই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাই আমার কমিটমেন্ট। আপনারা দু:স্থ বিচার প্রার্থীদের লিগ্যাল এইড দেবেন।
নবাগত সহকারী জজ সাজেদুর রহমান বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা কঠিন। যথাসম্ভব স্বল্প সময়ে রায় লিখে শেষ করা উচিত। তবে, স্বল্প সময়ের মধ্যে রায় লেখা সম্পন্ন করবো ইনশাল্লাহ। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, বারের সাথে জজশিপের সম্পর্ক আরও সুন্দর হবে এই প্রত্যাশা করছি। পাশাপাশি আমরা ভালো বিচারকের পাশে থাকবো। যারা ঘুষ খাবে, অন্যায়ভাবে রায় দেবে তাদের পাশে আমরা থাকবোনা। তাদের থাকতেও দেবো না, মেনেও নেবো না। আমরা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আপনাদের অবদান দেখতে চাই।