চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচন সম্পন্ন ॥ ১৩ জনের মধ্যে ৬ ভোটার অনুপস্থিত ॥ ৭টি ভোট পেয়ে জহুরুল জয়ী

বেগমপুর প্রতিনিধি: বিভিন্ন জটিলতার কারণে স্থগিত হওয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ১৩ জন ভোটারের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ ৬ জন ভোটার অনুপস্থিত থাকলেও ৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ৪ জন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর মধ্যে ৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জহুরুল ইসলাম। তবে চেয়ারম্যাসহ ৬ জন ভোটার অনুপস্থিত হওয়ার হেতু নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন? বইছে আলোচনা-সমালোচনা।
গত ২৮ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন জেলার ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বিভিন্ন কারণে এবং আইনি জটিলতায় স্থগিত হয়ে যায় ৩ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য নির্বাচন। গতকাল রোববার হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণের মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের অনুষ্ঠিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের স্থগিত হওয়া পুরুষ সদস্য নির্বাচন। নির্বাচনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ দিনে নুরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আকলাকুর রহমান আজাদ এবং লান্টু তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। বাকি ৪ জন প্রার্থী মানিকুজ্জামান মানিক (হাতি), আব্বাচ আলী (ফ্যান), শফিকুল ইসলাম (টিউবওয়েল) এবং জহুরুল ইসলাম (তালা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতায় মাঠে থাকেন। প্রতীক বরাদ্ধের পর আব্বাচ আলী (ফ্যান) প্রতিদ্বন্ধিতা থকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। সর্বশেষ তিনজন প্রার্থী মূলত প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। গতকাল ভোট গ্রহণের সময় ১৩ জন ভোটারের মধ্যে চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার, ইউপি সদস্য আক্কাচ আলী, আমিনুল ইসলাম, কায়েস উদ্দীন, আবু বকর জোয়ার্দ্দার ও মহিলা ইউপি সদস্য আহারন খাতুন অনুপস্থিত থাকলেও আলী কদর, আবু সালেহ, জিল্লুর রহমান, এরেং আলী, আমিরুল ইসলাম, হালিমা খাতুন ও নাছিমা খাতুন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গণনা শেষে মানিকুজ্জামান মানিক (হাতি), শফিকুল ইসলাম (টিউবওয়েল) প্রতীকে কোনো ভোট না পেলেও জহুরুল ইসলাম (তালা) প্রতীকে ৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে ভোটদানে অনুপস্থিত থাকা ভোটারদের মধ্যে কেউ কেউ জানান, ভোটের ব্যাপারে আমাদের কোনো আগ্রহ ছিলো না তাই ভোট কেন্দ্রে যায়নি। বিজয়ী প্রার্থী জহুরুল ইসলাম বলেন, ভোটাররা যোগ্য মনে করে আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমি ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
অপরদিকে পরাজিত প্রার্থী মানিকুজ্জাম মানিক ও শফিকুল ইসলাম অভিযোগের সুরে বলেন, অর্থের কারণে হেরে গেছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল্লাহ আল সামী বলেন, ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভোট দিতে আসা না আসা ভোটারদের ব্যাপার। এদিকে ভোটারদের ভোটে নিজেরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে নিজেরা ভোটদানে অনুপস্থিত থাকায় তা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন? বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। গতকালের এ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারী ছিলেন ৩৪ জন। এদের মধ্যে ১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ জন পোলিং অফিসার, ৯ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য।