হরিণাকুন্ডুতে নিজেকে সহকারী শিক্ষক দাবি : সভাপতির স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে প্রয়াত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকু-ু উপজেলার সোনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ২৮ আগস্ট ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্ধ হওয়ার তারিখে শেষ কর্মদিবসে একজন নারী স্কুলে এসে নিজেকে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক দাবি করলে এই ঘটনা জানাজানি হয়।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাবেক সভাপতি মৃত পরিমল কুমার সাধু খাঁ আমাকে এই স্কুলের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আমি বিভিন্ন কারণে স্কুলে উপস্থিত হতে পারিনি। এখন থেকে আমি নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত হবো। বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষক ও অভিভাবক বলেন, কবে নিয়োগ হয়েছে এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
তবে প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দীন জানান, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি সঠিক নয়। একটি মহল ব্যাপক অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দীন সাবেক সভাপতি পরিমল কুমার সাধু খা’র স্বাক্ষর জাল করে এ নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন। কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ স্কুলে অনেক কিছুই সম্ভব, সরকারের হাতে নিয়োগ চলে যাওয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক এখানে ব্যাকডেটে সার্কুলার দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ দিয়েছেন। অন লাইনে এমপিও সিটে খোঁজ নিয়ে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও দৌতলপুর ইউপি চেয়ারম্যানসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ পত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দীন ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সাবেক সভাপতি পরিমল কুমারের মৃত্যুর পর তার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাকডেটে একই ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মিলনের স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, আমি খোঁজ খবর নিয়েছি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগটি সঠিক বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানতে চাইলে সোনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি বিমল কুমার সাধু খাঁ মুঠোফোনে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকছেদুল ইসলাম জানান, আমি ছুটিতে ছিলাম বিষয়টি আমার জানা নেই। পরে খোঁজ নিয়ে দেখবো।