নানা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো শিশু আফিয়া

দামুড়হুদার হাউলীতে মাথাভাঙ্গা নদীর ধারে খেলতে গিয়ে বিপত্তি

স্টাফ রিপোর্টার: মামাতো বোনের বিয়েতে বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফিরলো শিশু আফিয়া খাতুন ওরফে রাইসা। গতকাল শনিবার দুপুরে সে মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে মারা যায়। আফিয়া খাতুন রাইসা (৭) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেরার সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে। সপ্তাখানেক আগে সে মা-বাবার সাথে দামুড়হুদার নতুন হাউলি গ্রামে আসে নানা বাড়ি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আমাদের দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সপ্তাখানেক আগে আফিয়া তার বাবা-মায়ের সাথে মামাতো বোনের বিয়েতে দামুড়হুদার নতুন হাউলী গ্রামে নানা আলম হোসেনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মামাতো ভাই-বোনদের সাথে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে খেলতে গিয়ে অসাবধানতাবসত সে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় তার মামাতো ভাই বোনদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুজির পর ডুবন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধারের করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (চিৎলা হাসপাতালে) নেয়ার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
আমাদের সরোরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাইসা চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের মেয়ে। পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েকদিন আগে রাইসা মা-বাবার সাথে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী গ্রামে নানা বাড়ি বেড়াতে যায়। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাথাভাঙ্গা নদীর ধারে মামাতো ভাই-বোনদের সাথে খেলা করার সময় নদীতে পড়ে যায়। প্রবল ¯্রােতে রাইসা ডুবে যায়। সাথে থাকা ভাই বোনরা বাড়িতে খরব দিলে বাড়ির লোকজন নদীতে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় রাইসার লাশ খুঁজে পায়। সেখান থেকে রাইসার লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হলে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার লাশ গতকাল বিকেলে বোয়ালিয়া পূর্বপাড়া ঈদগা ময়দানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।