দামুড়হুদায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর মৃত সন্তান প্রসব ধর্ষণ মামলা : অভিযুক্ত আলামিন গ্রেফতার

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়–য়া এক ছাত্রী সন্তান প্রসব করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই ছাত্রী ৮ মাস বয়সী এক মৃত সন্তান প্রসব করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে একই গ্রামের সামাদের ছেলে আলামিনের নামে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত আলামিনের মাকে থানায় নিয়ে আসলে রাতেই অভিযুক্ত আলামিনের পিতা নিজেই ছেলেকে থানায় হাজির করে স্ত্রীকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের দেউলী গ্রামের চা দোকানির মেয়ে দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী গত সাড়ে ৮ মাস আগে একই গ্রামের সামাদের ছেলে আলামিন (২২) মাঠে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ছাত্রী বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে চেপে রাখে। ধীরে ধীরে তার শারীরিক গঠন পরিবর্তন হতে থাকে। গতকাল সকালে ওই ছাত্রী তার মাকে বলে পেটে ব্যাথা করছে। এরপর তাকে নেয়া হয় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথা (চিৎলা হাসপাতালে)। ওখানেই ধরা পড়ে যে তার পেটে সন্তান। তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেয়ার সময় পথিমধ্যে সে একটি মৃত সন্তান প্রসব করে। উপায়ন্তর না পেয়ে শেষমেষ ওই ছাত্রী ওই ঘটনার জন্য গ্রামেরই সামাদের ছেলে আলামিনের নাম প্রকাশ করে। ঘটনাটি এলাকায় জানা জানি হয়ে পড়লে এলাকার শ শ নারী পুরুষ ওই মৃত সন্তানকে একনজর দেখতে মেয়ের পিতার বাড়ি ভিড় জমাতে শুরু করে। রাত ১০টার দিকে মেয়ের পিতা আলামিনকে অভিযুক্ত করে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ বলেছেন, অভিযুক্ত আলামিনকে না পেয়ে মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে পিতা সামাদ তার ছেলেকে থানায় নিয়ে আসলে মাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযুক্ত আলামিন বলেছেন ওই ঘটনার জন্য সে দায়ী না। ভিকটিমকে দামুড়হুদা চিৎলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। মৃত সন্তানকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চুল, নখ, রক্তসহ নুমনা সংগ্রহ করা হবে। ওই ঘটনার জন্য আলামিন দায়ী কী-না তা ডিএনএ পরীক্ষার পরই বলা সম্ভব হবে।

Leave a comment