দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় বাঘবন্দি খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে এরেং বাদশা নামের একজন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। তাকে চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তার ঠোটে মোট ৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার মোক্তারপুরে ওই মারামারির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর মাঝেরপাড়ার কালুর ছেলে ইয়ানবী (১৩) প্রতিবেশী নবীছদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৫) গত বুধবার বিকেলে বাড়ির অদূরবর্তী লালু ডাক্তারের দোকানের সামনে বাঘবন্ধি খেলা খেলছিলো। এ সময় একই গ্রামের বিল্লালের ছেলে মিয়াজান (১৮) খেলায় বাধা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মিয়াজানকে মারধর করে জাহাঙ্গীর। বিষয়টি জানতে পেরে মিয়াজানের ফুপাতো ভাই এরেং বাদশার ছেলে জিনারুল (২০) প্রতিবাদ করতে গেলে জাহাঙ্গীর ও জিনারুলের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এ সময় পাশের দোকানে বসে থাকা জিনারুলের পিতা এরেং বাদশা তাদেরকে ঠেকাতে এগিয়ে যান। এরেং বাদশাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে শুরু করে জাহাঙ্গীরসহ তার দু ভাই শাহিন এবং রাহেন। এক পর্যায়ে রাহেন ইট দিয়ে এরেং বাদশার মুখে সজোরে আঘাত করে। ইটের আঘাতে এরেং বাদশা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় স্ত্রী ফুলকুমারী স্বামী এরেং বাদশাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয় এবং তার পরনে থাকা কাপড়চোপড় ছিঁড়ে দেয় প্রতিপক্ষ। পরে স্থানীয়রা এরেং বাদশাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানা গেছে।