অনিশ্চয়তার প্রহর নেমেছে পারলক্ষ্মীপুরের রঙ্গিলা খাতুনের জীবনে
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার পল্লি পারলক্ষ্মীপুরের রঙ্গিলা খাতুন (৪০) চরম অনিশ্চয়তার প্রহর গুনছেন। গত ৩ আগস্ট চুয়াডাঙ্গার এআর হাসপাতালে সিজার করার পর থেকেই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন তিনি। তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও মাঝে মাঝেই তাকে চুয়াডাঙ্গায় এসে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
জানা গেছে, পারলক্ষ্মীপুরের আব্দুল লতিফের স্ত্রী রঙ্গিলা খাতুনের পূর্বে দু সন্তান প্রসব করেন স্বাভাবিকভাবেই। পরবর্তীতে একটু বয়স হলেও তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। প্রসববেদনা নিয়ে গত ৩ আগস্ট চুয়াডাঙ্গার এআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিনই সিজার করে পুত্র সন্তান প্রসব করানো হয়। পরদিন নবজাতক মারা যায়। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসা নিতে এসে রঙ্গিলা খাতুন ও তার সাথে থাকা নিকটজনেরা এসব তথ্য দিয়ে অভিযোগ তুলে বলেন, চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল সড়কের এআর হাসপাতালের ডা. রফিউদ্দীন রফিক সিজার করেন। পরে জটিলতা দেখা দিলে অপর এক চিকিৎসককেও সেখানে ডাকা হয়। ওই হাসপাতালে ৪ দিন রেখে বাড়ি ফিরতে বলে। যন্ত্রণা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয়। বাড়ি ফিরেও যন্ত্রণা যায়নি, উপরন্ত অপারেশনের ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বের হতে শুরু করে। ওই হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা দেয়, টাকা নেয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না।
গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ননের নিকট চিকিৎসা নিতে এসে বিস্তারিত বলেন। চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে বলেন, আবারও অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে। এ বিষয়ে চিকিৎসক ডা. রাফি উদ্দিন রফিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিজার আমি করিনি। করেছেন ডা. তারিক হাসান শাহিন। ডা. রফিক সাথে সাথে ডা. শাহিনের কাছে ফোনে কথা বলেন, এ সময় ডা. শাহিন বলেন ওই ধরনের কোনো রোগীর সিজার করেছি কি-না তা মনে নেয়। এমনটি হওয়ার কথা নয়।