বিপ্লবের আভাস নিয়ে ফিরলেন কলসিন্দুর ফুটবলকন্যারা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাংলাদেশে নারী ফুটবলে বিপ্লবের আভাস নিয়ে দেশে ফিরেছেন কলসিন্দুর ফুটবলকন্যারা। বাংলাদেশ নারী ফুটবল মানেই যেন কলসিন্দুর। কারণ সেই দলের ৯ খেলোয়াড় কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী। থাইল্যান্ড যাত্রা শেষে মঙ্গলবার বিকেলে নিজ গ্রামে ফিরেছেন কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ নারী ফুটবলার। অপরদিকে একই দিন সন্ধ্যায় গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মেয়েদের ফুটবলে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিজ ভূমিতে ফিরেছে কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও মেয়েদের কোচসহ প্রায় ২০ জনের একটি দল। সব মিলিয়ে কলসিন্দুরে ফুটবলকন্যাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহদী হাসানের উদ্যোগে মেয়েদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধোবাউড়া থানার ওসি শওকত আলম পিপিএম,৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মালা রানী সরকার। টুর্নামেন্ট শেষে উভয় দলই নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবলে এক আমুল পরিবর্তনের হাওয়া। থাইল্যান্ড যাত্রায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বের খেলায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ৯-০ গোলের হার আগে থেকেই অনুমেয় ছিলো। পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে মেয়েরা। ব্যবধান কমে ৩-০ গোলের হার। তবে লড়াইটা হয়েছে শেষ ম্যাচে অস্ট্রোলিয়ার সঙ্গে। জিততে জিততে হেরে যায় বাংলাদেশের সানজিদা, মারিয়ারা। জেতা হয়নি কোনো ম্যাচ, কিন্তু তারপরও প্রাপ্তির খাতা একবারে শূন্য নয়। বাংলাদেশ নারী ফুটবলে বিপ্লবের ঘোষণা নিয়েই দেশে ফিরেছে তারা। গত মঙ্গলবার বিকেলে ধোবাউড়ায় নেমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহদী হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে মারিয়ারা। এ সময় সানজিদা জানায়, এবার না পারলেও আগামীতে আমরা পারব। মার্জিয়া জানায়, মাত্র ১০ দিনের ছুটিতে এসেছি, ছুটি শেষে আবারও ক্যাম্পে যোগ দেবো।

এদিকে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মেয়েদের ফুটবলে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে একই দিনে যশোর থেকে গ্রামে ফিরেছে কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের খুদে মেয়েরা। এবার তারা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদেরও চোখেমুখে আগামীর স্বপ্ন। গোলকন্যা রোজিনা জানায়, আমরাও জাতীয় দলে খেলে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই। মেয়েদের কোচ জুয়েল মিয়া জানান, মেয়েরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। তারই ফল আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মালা রানী সরকার বলেন, আমরা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এ জন্য যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।