থামানো যাচ্ছে না মহেশপুরে বাল্যবিয়ে ॥ ঈদুল আজহার ছুটিতে ১ ডজনের অধিক বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত

দাউদ হোসেন: ঝিনাইদহের মহেশপুরে থামানো যাচ্ছে না বাল্যবিয়ে। ঈদের ছুটিতে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রায় ১ ডজনের অধিক বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাপ্ত সূত্রে প্রকাশ, পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মিজান মুন্সীর মেয়ে সীমা খাতুন (১৩), একই গ্রামের পান্না শেখের মেয়ে তিথি খাতুন (১৫), ফতেপুর বাজারপাড়া নুর ইসলামের মেয়ে স্বর্ণা খাতুন (১৫), রাখালভোগা গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে চুমকি খাতুন(১৬), একই গ্রামের সরু ম-লের মেয়ে রিক্তা খাতুন (১৫), রাখালভোগা নতুনপাড়ার সেকেন্দার আলীর মেয়ে রিক্তা খাতুন (১৪), একই গ্রামের সমশের আলীর মেয়ে ফাতেমা খাতুন(১৪), হবি বিশ্বাসের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১৪), গৌরিনাথপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে তাছলিমা (১৫), একই গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে আম্বিয়া (১৫), একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে আদরী (১৩), একতারপুর গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়ে আফরিনা (১৪), নেপা গ্রামের ওসমান গনির মেয়ে নাজিরা খাতুন বন্যা (১৫), ভবনগর গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে আরিফা খাতুন (১৪) ও নেপা কাঞ্চনপুর স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ইতি খাতুন (১৪)।
উল্লেখ্য, উঝিনাইদহে কর্মরত মানবাধিকার সংগঠন আরডিসির হটলাইন ও একাধিক সূত্রের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে মহেশপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ব্যাপক তৎপরতা চালালেও এক শ্রেণির মোল্লা ও কাজিদের যোগ-সাজসে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে। তারা কখনো শুধু কালেমা পড়িয়ে আবার কখনো নকল ফরমে স্বাক্ষর নিয়ে বিবাহ পড়াচ্ছে। কেউ কেউ নোটারী পাবলিক থেকে বিয়ে করে আসছে। মহেশপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের বিভিন্ন কর্মসূচী আমরা চালিয়ের আসছি। নোটারী পাবলিক থেকে বিয়ের কোনো বৈধতা নেই। গত ৭ সেপ্টেম্বর বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একজনকে ১ মাসের কারাদ- ও ৫জনকে আর্থিক জরিমানা করে।