চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর ইউনিয়নে আউস ধানের বাম্পার ফলন ॥ কৃষকের মুখে হাসি

জিয়াউর রহমান জিয়া: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে এবার ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা তাদের ধান কাটা শেষের দিকে। ভালো ফলন হওয়ায় তারা খুশি। এবার আবহাওয়া ধান চাষের অনুকূলে থাকায় কুতুবপুর ইউনিয়নের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন বেশি হয়েছে।
কুতুবপুর ইউনিয়নের কৃষি উপসহকারী মোস্তাফিজুর রহমার বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে ১৮ থেকে ২০ মণ ধান পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হয়েছে। গত বছর ১২ থেকে ১৩ মণ হয়েছিলো। মাঠের ধান কাটা শুরু হলে দাম গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। এবার এ ইউনিয়নে ১ হাজার হেক্টর জমিতে আউস ধান আবাদ করা হয়েছে। বাজারে প্রতিমণ ধান ১ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২শ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। বোয়ালিয়ার কৃষক হাসিবুল হোসেন জানান, ধানের দাম বেশি হওয়ায় গত কয়েক বছরের লোকসান কিছুটা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
কালুপোলের কৃষক মহিদুল ইসলাম জানান, ১ বিঘা জমিতে ধানচাষ করতে সার বীজ ও শ্রমিকসহ ৮ হাজার টাকার মতো খরজ হয়। এছাড়া এবার ধানের জমিতে পানি থাকায় শ্রমিক খরজ অনেক বেশি হচ্ছে। তার পরেও বাজাবে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় আমরা খুশি।
সরোজগঞ্জ বাজারের বেশকিছু চাতাল ব্যবসায়ী জানান, অটো চালকল হওয়ায় অনেক মিল চাতাল বন্ধ রয়েছে। বাজারে যে পরিমাণ ধান আমদানি হচ্ছে তা অটো চালকলের চাহিদা পুরণ করাই কঠিন। ছোট ছোট চালকল মালিকরা ধানের দাম বেশি হওয়ায় ধান কিনতে পারছেন না। তাছাড়া বেশি দামে ধান কিনে চাল তৈরি করে চাল বাজারে বাকিতে বিক্রি করতে হয়। সেই ধরনের অর্থ ছোট ছোট চালকল মালিকদের থাকে না। ধান চালের বাজার চলে যাচ্ছে পুজিপতিদের হাতে।