স্টাফ রিপোর্টার: ঘুষ না দিলে চুয়াডাঙ্গার কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সাইজ অফিসে কোনো কাজ হয় না। মোটরসাইকেল কিনে ভ্যাট বিষয়ে জানতে আসা এক ব্যক্তি এরকম অভিযোগ তোলেন। পরে বিষয়টি সরেজমিনে জানতে গেলে ওই অফিসে কাজ করতে আসা অন্য একাধিক ব্যক্তিও অভিন্ন অভিযোগ তোলেন। অভিযোগকারীর দাবি, ৭৫০ টাকার ভ্যাট চালান সত্যায়িত করার জন্য দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সাইজ অফিসে যান। তিনি তার মোটরসাইকেলের জন্য কতো টাকা ভ্যাট জমা দিতে হবে তা জানার জন্য সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায়ের কাছে গেলে তিনি ইশারায় তাকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, আপনি ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে ৭৫০ টাকা জমা দিয়ে তার কপি নিয়ে আসেন। আর অফিস সহকারী আরিফুল ইসলামের কাছে দুই হাজার টাকা দিয়ে যান। এ বিষয়ে জানতে শহরের একাধিক মোটরসাইকেল শোরুমে খোঁজ নেয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শোরুমের ম্যানেজাররা প্রায় অভিন্ন ভাষায় বলেন, আমরা গ্রাহক হয়রানি কমানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ভ্যাট অফিস থেকে ভ্যাট চালান সত্যায়িত করে থাকি। তবে যেহেতু ব্যবসার প্রয়োজনে আমাদেরকে তাদের কাছে নিয়মিত যেতে হয়, এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে পারি না। পরে বিষয়টি নিয়ে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি সাংবাদিক পর্যন্ত গিয়েছে, সেহেতেু ওই ব্যক্তির সাথে কি কথা হয়েছে সে বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সাইজ অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এ অফিসে নতুন এসেছেন। তিনি কেনো অতিরিক্ত টাকা দাবি করেছেন তা আমি বলতে পারবো না। তবে তিনিও নানাভাবে এ প্রতিবেদকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।