গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে শাপলা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। শাশুড়ির নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শাপলা খাতুন কাজিপুর গোলাম বাজারপাড়ার কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী। জাহাঙ্গীর-শাপলা দম্পত্তির দেড় বছরের এক শিশুকন্যা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজ বাড়িতে বিষপানের পর পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে বামন্দীর একটি ক্লিনিক নিয়ে যান। চিকিৎসা শুরু করার মুহূর্তেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শাপলা। পরে মরদেহ স্বামীর বাড়িতে নেয়া হয়। কাজিপুর গ্রামের হাজিপাড়ার আব্দুল খালেকের মেয়ে শাপলা খাতুনের সাথে জাহাঙ্গীর হোসেনের বিয়ে হয় বছর চারেক আগে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল থাকলেও শাশুড়ির সাথে বনিবনা ছিলো না শাপলার। শাশুড়ি কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শাপলার পিতার পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাশুড়ি রওজা খাতুনের নির্যাতনে শুধু শাপলা নয় অন্য দুই ছেলের স্ত্রীও নির্যাতিতা। রওজা খাতুনের সেজ ছেলে নাছিরের স্ত্রী একইভাবে তিন বছর আগে মারা যায়। এছাড়াও ৪-৫ দিন আগে মেজ ছেলে আজাদের স্ত্রীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় রওজা। এতো ঘটনার পর শুধু পরিবারই নয় এলাকার মানুষও অভিযুক্ত রওজা খাতুনের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শাপলার পিতার পরিবারের অভিযোগের কারণে মরদেহ দাফন হয়নি। উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করছে গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, জনৈক এক ব্যক্তি মোবাইলে বিষয়টি অবগত করেছে। কিন্তু এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।