নাফ নদীতে আরো আট রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার : সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে নিহত ২

স্টাফ রিপোর্টার: টেকনাফের নাফ নদী থেকে আরো আট রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার নদীর নাজিরপাড়া, নয়াপাড়া ও শাহপরীর দ্বীপ এলাকা থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক। অপরদিকে গত মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আরো দুইজন নিহত হয়েছেন।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া জানান, নাজিরপাড়ার নাফ নদীতে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুলে নিয়ে আসেন। সাবরাংয়ের ইউপি মেম্বার ফজলুল হক জানান, ভোরে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা থেকে কিছু লোক সাঁতরে তীরে ফিরে আসে। তারা জানান- মিয়ানমার থেকে আসার পথে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। পরে শাহপরির দ্বীপের জালিয়াপাড়া থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে তিন শিশু, দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ নাফ নদী থেকে আট মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

গত মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়ির ৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলার ও ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলার সংলগ্ন মিয়ানমার সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে দুইজনের মৃত্যু হয়। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, মিয়ানমারের পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে নিহত হওয়া রোহিঙ্গা যুবকের নাম মোক্তার আহমদ। তিনি মিয়ানমারের ফকিরাবাজার এলাকার আবদুস সালামের পুত্র। আর অপরজন হলেন নাইক্ষ্যংছড়ির সদর ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের বদিউল আলমের পুত্র হাশেম উল্লাহ (৩৫)। আহত অবস্থায় তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল কর্মকর্তা সালমান করিম খাঁন।

২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নাফ নদী ও সীমান্ত এলাকা থেকে শতাধিক রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। উদ্ধারকৃত মৃতদেহ টেকনাফ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে দাফন ও কাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Leave a comment