গাংনীর ধানখোলায় বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা ॥ লাইসেন্স বিহীন দোকানে দেদারসে কীটনাশক বিক্রি

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামে বিষপানে আক্তারুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া থেকে রাজশাহী মেডিকেলে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সে ধানখোলা গ্রামের উত্তরপাড়ার কৃষক হিসাম আলীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির অদূরবর্তী নলগাড়ি মাঠে বিষপান করে আক্তারুল। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে বিষ তোলার পর কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেলের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বজনরা। কুষ্টিয়া শহর পেরিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে আক্তারুল। এ ঘটনায় তার মা-বাবা ও স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন পাগলপ্রায়। ময়না তদন্ত ছাড়াই গতকাল বুধবার দুপুরে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পরিবারের দাবি, বেশ কয়েক বছর আগে থেকে আক্তারুলের ব্রেনে সমস্যা। ঈদের পর দিন থেকে সমস্যা আবারও দেখা দেয়। মানসিক সমস্যা থেকেই সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। এছাড়া স্ত্রী ও পরিবারের কারো সাথে তার কোনো ঝগড়া কিংবা বিবাদ হয়নি বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী ও মানুষের সাথে ভালো আচরণে সকলেই তাকে ভালো ছেলে হিসেবেই জানতেন। মানসিক সমস্যা ছাড়া আত্মহত্যার কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
এদিকে গ্রামের আবু তাহের নামের এক কীটনাশক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আক্তারুল কীটনাশক ক্রয় করে বলে জানা গেছে। আক্তারুল যদি মানসিক ভারসম্যহীন হয়ে থাকেন তাহলে কেনো তার কাছে কীটনাশক বিক্রি করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া কীটনাশক বিক্রির কোনো সনদপত্র ছাড়াই কিভাবে সে ব্যবসা করছেন সে প্রশ্নও এখন গ্রামের অনেকের মুখেই। তবে আবু তাহেরের সাথে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গ্রামে সনদপত্র ছাড়াই কীটনাশক বেচাকেনা হচ্ছে। হাত বাড়ালেই মেলে কীটনাশক। ক্ষেতে প্রয়োগের কথা বলে কীটনাশক কিনে অনেকেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাই কীটনাশক বিক্রির বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর।