স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীতে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) এক কর্মকর্তার স্ত্রীসহ তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে একটি বিশেষ টিম (ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চল) মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- এসবির সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) সালাউদ্দিনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার, সালাউদ্দিনের বন্ধু দাবিদার পরেশ চন্দ্র দাশ ও তার স্ত্রী কুলসুম। মঙ্গলবার মাদকনিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তেজগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত তাহমিনা আক্তারের স্বামী এসআই সাহাবুদ্দিন এসবির টিএফআই শাখায় কর্মরত আছেন।
এ ব্যাপারে এসবির ডিআইজি (প্রশাসন) মীর শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর এসআই সাহাউদ্দিনকে ডেকে ছিলেন। তবে জানিয়েছে, তাহমিনা আক্তারে সাথে বিয়ে হয়নি। তবে তিনি মাঝে মধ্যে তার বাসায় আসা-যাওয়া করেছেন। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃত (তাহমিনা আক্তার) সালাউদ্দিনের স্ত্রী হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ঢাকা মেট্রো অঞ্চল) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের টিম তাদের নজরদারিতে রাখছিলো। আজ (মঙ্গলবার) ভোরে গ্রেফতারকৃতরা ইয়াবার চালানটি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে তারা। ভোর পাঁচটার দিকে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেমে তারা খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী জি ব্লকের ৬ নম্বর রোডের ৮০/৩০ বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় ওতপেতে থাকা ঢাকা মেট্রো অঞ্চলের উপপরিচালক মুকুল জৌতি চাকমার নেতৃত্বে একটি টিম দ্রুত বাসায় ঢুকে পড়ে। পরে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের নারী সদস্যদের দিয়ে কুলসুম ও তাহমিনা আক্তারের শরীর তল্লাশি করা হয়। এ পর্যায় তাদের পায়ে অ্যাংলেটের মাধ্যমে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ১০ হাজার ১শটি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় খিলখাঁও থানায় তিনজনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে আজ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম আরও জানান, বিবিএ অনার্স পাস তাহমিনা জানিয়েছে, তার স্বামী সালাউদ্দিন স্পেশাল ব্রাঞ্চের টিএফআই শাখায় এসআই (উপপরিদর্শক) পদে কর্মরত। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তাহমিনা জানিয়েছে, পলাশ চন্দ্র দাশ তার স্বামী সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। অপরদিকে পলাশ চন্দ্র দাশও জানিয়েছে, সালাউদ্দিন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একই সাথে তারা পড়াশোনা করেছেন। তবে সে বলেছেন, মাত্র তিন দফায় ইয়াবার চালান কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেছেন।