স্টাফ রিপোর্টার: রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আজ বুধবার জরুরি বৈঠকে বসছে। মানবিক সংকট বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য ও সুইডেনের উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধন চলছে বলার পর নিরাপত্তা পরিষদের এ জরুরি বৈঠক হতে যাচ্ছে। একই ইস্যুতে গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পৌনে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গার পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রামে গ্রামে যা ঘটছে তা জাতিগত নির্মূল অভিযানের একটি উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য সুইডেন ও যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।
গত ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে। এই অভিযানে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। জাতিসংঘ বলেছে, এ সময়ে মিয়ানমার থেকে তিন লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। এদিকে, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ঢাকায় ব্রিফ করার পর আজ বুধবার কক্সবাজারে সরেজমিন রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহকারী কমিশনার জর্জ ওকথ-ওবো বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিবেশী দেশটির ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার উখিয়া শরণার্থী শিবির পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, মিয়ানমার এ সংকটের সৃষ্টি করেছে। মিয়ানমারকেই তার সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সোমবার মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির আহ্বানসংবলিত একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। তবে মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।