যমজদের শহর টুইনসবার্গ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শহরের নাম টুইনসবার্গ। আর বাস্তবেও এখানে সেখানে দেখা মিলবে ‘টুইন’ বা যমজদের। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের এই শহরটি এই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত । বাইরের কোনো লোক শহরটিতে নতুন গেলে তিনি বেশ ধন্দে পড়ে যাবেন। তার মনে হতে পারে গোটা শহরে এখানে সেখানে কি আয়না বসানো আছে! তা না হলে একই চেহারার মানুষ কেন এতোবার চোখে পড়ছে? এই শহরে কেন এতো যমজ জন্মগ্রহণ করে সেটা এক রহস্য বটে। সাধারণ যজম সন্তানদের মধ্যে চেহারায় কিছুটা হলেও পার্থক্য থাকে। কিন্তু টুইনসবার্গের যমজরা সবাই আইডেন্টিক্যাল। একজনের চেহারার সাথে অন্যজনের হুবহু মিল। তাদের কাপড়চোপড়ও এক। রাস্তায় দেখা যাবে হুবহু একই চেহারার দুজন ব্যক্তি গল্প করতে করতে হেঁটে যাচ্ছে। বাড়ির সামনে লনে জোড়ায় জোড়ায় যমজ শিশু খেলা করছে। স্কুল থেকে দলে দলে বাড়ি ফিরছে যমজ ছাত্র-ছাত্রীরা। এখানে যমজদের নিয়ে নানারকম প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়ে থাকে। প্রতি বছর আবার যমজ সম্মেলনও হয়। সেখানে হাজার হাজার যমজ অংশগ্রহণ করে।

গবেষক ব্যারি বলেন, এটা এমন একটা পরিস্থিতি যা আপনি ইচ্ছা করলেই পেয়ে যাবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের আর কোনো শহরে যমজদের এমন ছড়াছড়ি নেই। এখানকার যমজ ছেলেরা বিয়ে করে যমজ মেয়েদের। ১৯৭৬ সাল থেকে এখানে যমজ উত্সব হয়ে আসছে। তখন এখানে ৩৬ সেট যমজ ছিলো। এরপর থেকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যমজদের সংখ্যা। অবিশ্বাস্য শোনালেও সত্যি, চলতি বছর যমজ সম্মেলনে ১ হাজার ৯শ সেট যমজ অংশ নিয়েছিলো। এখানকার যমজ সম্মেলনে অন্য দেশের যমজরাও ছুটে যান। টুইনসবার্গের যমজ ভাইবোনদের নামও রাখা হয় মিল রেখে। এখানকার যমজরা বলেন, তাদের প্রতি অন্যদের মনোযোগ দেখে তাদের ভালোই লাগে।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১ হাজার সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে ৩৩টি যমজ হয়। তবে সম্প্রতি সময়ে এই হার বেড়ে চলেছে। চিকিত্সাবিজ্ঞানীরা বলছেন, মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে করা, ফার্টিলিটি ওষুধ গ্রহণসহ বেশ কয়েকটি কারণে যমজ সন্তান হওয়ার হার বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।