বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা শ্বশুর আত্মসাৎ করায় আত্মহত্যা করেছে কুয়াতলা-মোহাম্মদপুরের এক যুবক

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা শ্বশুর আত্মসাৎ করায় ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা করেছেন আলমডাঙ্গার কুয়াতলা-মোহাম্মদপুর গ্রামের যুবক হাসান আলী। গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মারা যান।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুয়াতলা-মোহাম্মদপুর গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে হাসান আলী (২৯) প্রায় ৪ বছর আগে পানিপথে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে অবস্থানকালে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী সুমি খাতুনের নিকট ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা পাঠান। মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানের একপর্যায়ে পুলিশের নিকট আটক হন। সেখানে তার ৬ মাসের কারাদ-াদেশ হয়। ৬ মাস জেল খেটে গত ৩ মাস পূর্বে তিনি বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরে তার পাঠানো ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার হিসেব চান স্ত্রীর নিকট। স্ত্রী সুমী খাতুন সমস্ত টাকা তার বাপের নিকট রয়েছে বলে জানান। এরই মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে হাসান আলী তার শ্বশুর মিরপুর উপজেলার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মজিদের সাথে হিসেবনিকেশে বসেন। ৪ বছরে তার স্ত্রীকে খাওয়ানো বাবদ ১ লাখ টাকা কেটে রেখে শ্বশুর আব্দুল মজিদ তার জামাই হাসান আলীকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। গত ঈদে গরু বিক্রি করে জামাইয়ের টাকা ফেরত দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শ্বশুর টাকা দেননি। ঈদের পর স্ত্রী বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফিরলেও সাথে টাকা আনেনি। এই নিয়ে স্ত্রী ও শ্বশুরের সাথে তার চরম মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরই এক পর্যায়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ৫ বছরের এক পুত্র সন্তানের জনক হাসান আলী বিষপান করেন। প্রথমে তাকে হারদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সুস্থতার পরিবর্তে ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার হাসপাতালে মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য গতকালই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।