দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌনহয়রানির অভিযোগ ॥ ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা গালর্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক এক সন্তানের জনক সাজিদ হাসান ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে একই কলেজের এক ছাত্রীকে যৌনহয়রানির অভিযোগে ২০ হাজার জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। গতকাল সোমবার দুপরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক সাজিদ হাসান (৩৫) দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের মৃত ওহিদুল ইসলামের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সাজিদ হাসান সুমন একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করে আসছিলো। এ বিষয়ে কলেজছাত্রীর পিতা দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক সাজিদকে গত রোববার রাত ২টার দিকে আটক করে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপরে শিক্ষক সুমনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক সুমন নিজের দোষ স্বীকার করে জবানন্দী দিলে ভ্রাম্যামাণ আদালতের বিচারক দ-বিধির ৫০৯ ধারায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেন। সেইসাথে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষককে সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়ারও পরামর্শ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতর বিচারক। পরে সুমনের পরিবারের লোকজন জরিমানার টাকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কাজে সহায়তা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাজির হামিদুল ইসলাম ও উপজেলা আইসিটি টেকনিশিয়ান খাইরুল কবির দিনার।