স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগ নেতা সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জস্থ জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হলেও গতকাল তা স্থানান্তর করা হলে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রশ্ন দানা বাঁধে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের স্ত্রী সাবিরা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর কোরবানি ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের সংঘর্ষে জয়নাল আবেদীন নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনায় তার স্বামী জিল্লুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া কতিপয় ব্যক্তি ও সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম করে বিভিন্ন সময় তার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তার স্বামী জিল্লুর রহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরীক্ষিত সৈনিক। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। একবার খাদিমপুর ইউনিয়ন ও পর পর দু বার চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের জন্য তিনি মাদার তেরেসা পদকসহ বিভিন্ন পদক লাভ করেছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন। হাঁপানিয়া গ্রামে সংঘর্ষে নিহত মামলায় কতিপয় স্বার্থন্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তি ও মহল বিশেষ প্রতিহিংসামূলক তাকে প্রধান আসামি করেছে। কিন্তু ঈদের দিন তিনি নিজ গ্রাম কয়রাডাঙ্গা গ্রামের পশ্চিমপাড়া ঈদগা মাঠে নামাজ আদায় করেছেন। ঈদগা মাঠে উপস্থিত মুসল্লিগণ তা প্রত্যক্ষ করেছেন। নামাজ আদায় শেষে তিনি বাড়িতে পশু কোরবানি করেছেন এবং মাংস দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন। ঈদের পুরো দিন এভাবেই তিনি ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তবে, কীভাবে তাকে হাঁপানিয়া গ্রামের সংঘর্ষের নিহতের ঘটনায় আসামি করা হলো? এছাড়া কয়রাডাঙ্গা ঈদগা মাঠ থেকে হাঁপানিয়া গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। ওই মামলায় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, প্রতিহিংসাবশত ও ষড়যন্ত্রমূলক তার স্বামীকে আসামি করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং তার পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবীর, কয়রাডাঙ্গা ঈদগাহের ইমাম আব্দুস সালাম, সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্মসম্পাদক জাকির হোসেন জ্যাকি, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
