ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আশরাফুল ঈদ খরচের টাকা জোগাড় করার জন্য শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে গেছেন। পা ভেঙে তিনি এখন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারটি এতোটাই হতদরিদ্র যে টাকার অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না। এ সব কথা জানালেন তার দরিদ্র পিতা ছানোয়ার হোসেন। হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মেধাবী ছাত্র আশরাফুল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান ৩য় বর্ষে ইংরেজিতে পড়াশোনা করেন। টিউশনি বা মাঝেমধ্যে শ্রমিকের কাজ করে একদিকে পড়াশোনা অপরদিকে সংসারে দরিদ্র পিতাকে সাহায্য করছিলেন। ২৭ আগস্ট ঈদুল আজহার ছুটিতে আশরাফুল বাড়িতে আসেন। ভেবেছিলেন ছুটির কয়দিন কাজ করে ৬-৭ হাজার টাকা হবে। কিছু ঈদের ও পড়ার খরচ জোগাড় করার জন্য পরদিন ২৮ আগস্ট সকালে সে রাজমিস্ত্রির সাথে ট্রলিতে দৈনিক ৫০০ টাকা মুজুরিতে ঢালাই কাজে কুষ্টিয়ার হরিনারায়ণপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুষ্টিয়ার বাগচড়া নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রলি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে খাদের মধ্যে পড়ে যায়। সড়ক দুর্ঘটনায় আশরাফুলের বাম পা ভেঙে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশরাফুলের পিতার আগে চায়ের দোকান ছিলো। তাই দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলতো। পিতা ছানোয়ার হোসেন বৃদ্ধ হওয়ায় এখন কিছুই করতে পারেন না। ডাক্তার বলেছেন, হাড় টুকরো হয়ে যাওয়ায় অপারেশন করতে হবে। সবকিছু মিলে প্রায় এক লাখ টাকা দরকার। এই টাকা জোগাড় করে চিকিৎসা করানোর মতো কোনো অবস্থা নেই আশরাফুলের পরিবারের। কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি সাহায্যের হাত বাড়ান তবেই মেধাবী ছাত্র আশরাফুল পঙ্গুত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে লেখাপড়া শেষ করতে পারবেন। আর্থিক সহায়তার জন্য বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, হরিণাকু-ু শাখা সঞ্চয় হিসাব নং ৪৪১৭ অথবা বিকাশ নং ০১৭১৯২৬৭৪১০ নাম্বারে দানশীল ব্যক্তিরা টাকা পাঠাতে পারেন।