ছাত্রী উত্ত্যক্ত কেন্দ্র করে গাংনীতে দুই গ্রামবাসীর উত্তেজনা

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর সদর উপজেলার আলমপুর ও গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়গামী ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের জেরে গত কয়েকদিন থেকে দু গ্রামবাসী মুখোমুখি। প্রতিবাদী কয়েকজন মারধরের শিকারও হয়েছেন। গতকাল শনিবার দুই গ্রামের মানুষ জড়ো হলে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দু গ্রামে অবস্থান নেয় পুলিশ।
জানা গেছে, আলমপুর গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবেশী গ্রাম গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় গাড়াডোব গ্রামের পুকুরপাড়ার আসিক হোসেনসহ কিছু তরুণ-যুবক তাদেরকে উত্ত্যক্ত করে। বখাটে ছেলেদের অত্যাচারে মেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদ করায় গত ১ সেপ্টেম্বর আলমপুরের গ্রামের কয়েক ছাত্রকে মারধর করে বখাটে যুবকরা। এ নিয়ে গতকাল থেকে আলমপুর গ্রামের অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সকালে আলমপুর গ্রামের ব্রিজের দু পাশে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হয়। একপর্যায়ে সদর ও গাংনী থানা পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গাড়াডোব গ্রামের পুকুরপাড়ার টোকন হোসেন। টোকনের আত্মীয়-স্বজনদের ছেলেরা মূলত ছাত্রী উত্ত্যক্ত করে। সভাপতির ক্ষমতার জোরে তারা কাউকে তোয়াজ করে না। তবে অভিযোগ অস্বীকারে করেছেন টোকন হোসেন।
গাড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, মেয়েদেরকে উত্ত্যক্ত বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এর আগে কয়েক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিলো। এবার কোনো ছাত্রী কিংবা অভিভাবক আমার কাছে অভিযোগ দেননি। গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Leave a comment