স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের ঝাঝরি গ্রাম থেকে আটককৃত ৭ জুয়াড়িকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করেছেন মামলা। দলীয় অফিসে জুয়ার আসর বসানোয় গ্রামের ক্ষমতাসীন দলের এক নেতাকে নিয়ে গ্রামে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই মাসনুন লেলিন গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝাঝরি গ্রামে অভিযান চালন। এ সময় পুলিশ গ্রাম কমিটির আ.লীগের সভাপতি আনছার আলীর ঘর থেকে ৭ জুয়াড়িকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা এবং জুয়াখেলার তাসসহ আটক করেন। আটককৃতরা হলেন, ওসমান বিশ্বাসের ছেলে সবুজ আলী, হোসেন ম-লের ছেলে এজের আলী, মতসেরের ছেলে বাবু, সোবারেশ ম-লের ছেলে ময়েদ আলী, মুনছুর আলীর ছেলে সেলিম উদ্দীন, আলমের ছেলে নয়ন ও মজনুর ছেলে সাজ্জেদ আলী। এ ঘটনায় পরের দিন শুক্রবার সকালে এসআই মাসনুন বাদী হয়ে আটককৃত ৭ জন এবং একই গ্রামের রজব আলীর ছেলে আব্বাচ আলী, রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান, করিম ম-লের ছেলে ফারুক হোসেন ও মুনছুর আলীর ছেলে শাহাজুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করেছেন।
গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, আনছার আলী তার মুদি দোকানের সামনে দলীয় অফিস তৈরি করেছেন। আর এ অফিসে প্রতিরাতেই বসে জুয়ার আসর। যে আসরে অংশ নেই অনেকেই। প্রতিরাতে হারজিত হয় হাজার হাজার টাকা। জুয়ার আসরে টাকা হারজিত নিয়ে গ্রামের অনেক পরিবারেই অশান্তি বিরাজ করে। পুলিশ জুয়াড়ি চক্রকে ধরতে দফায় দফায় অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। কারণ যখন জুয়ার আসর বসে তখন গ্রামের রজব আলীর ছেলে চিহ্নিত জুয়াড়ি আব্বাচ আলী বিভিন্ন জায়গায় জন হাজিরায় লোক বসিয়ে রাখেন। যাতে করে গ্রামে পুলিশ ঢুকলে সে সংবাদ পৌঁছে যায় তার কাছে। আর এ জুয়ার আসর থেকে পুলিশের টাকা, আলোর ব্যবস্থার টোল হিসেবে আব্বাচ তুলে থাকে। সকল শর্তকতা ভেদ করে পুলিশ জুয়ার আসরে হানা দিয়ে জুয়াড়িদের আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে দলীয় অফিসে জুয়ার আসর বসানো নিয়ে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।