মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে প্রতিবেশীর সাথে পরকীয়ায় কন্যা সন্তানের জন্ম দিলো প্রবাসীর স্ত্রী স্বপ্না। ৫ বছর আগে বিয়ে করে বাড়িতে স্ত্রী রেখে মালয়েশিয়ায় যান গৃহবধূর স্বামী আলতাব। ৩ বছর পর বাড়িতে এসে আবারও বিদেশ পাড়ি জমান। গত ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে স্ত্রীর অসুস্থ হওয়ার কারণে একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরীক্ষা করে বুঝতে পারে স্ত্রীর পেটে বাচ্চা। আকাশ ভেঙে পড়ে আলতাবের মাথায়। খরবটা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে খেজুরতলা ও এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। গতকাল আলমডাঙ্গার ফাতেমা টাউয়ার ক্লিনিকে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্বপ্না।
গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার খেজুরতলা গ্রামের আলতাব খাসকররা গ্রামের সহিদুল কাসারীর মেয়ে স্বপ্নার (২৫) সাথে বিয়ে হয় ৫ বছর আগে। বিয়ে করে স্ত্রী রেখে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পাড়ি জমান মালয়েশিয়াতে। সেখানে ৩ বছর থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন। কিছুদিন পর আবার ফিরে যান মালয়েশিয়া। গত ঈদের ছুটিতে বাড়িতে ফিরে আসেন আলতাব। গত পরশু স্ত্রী স্বপ্না অসুস্থ হয়ে পড়লে আলমডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার পরীক্ষা করে স্বপ্নার গর্ভে ৯ মাসের সন্তানের কথা জানালে হতবাক হয়ে পড়েন আলতাব। বিশ্বাস না হলে করা হয় আল্ট্রাসনোগ্রাফি। সেখানেও ৯ মাসের সন্তানের কথা জানানো হয়। সন্তানের বাবা কে স্বপ্নাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানাই প্রতিবেশি আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সোহেল এই সন্তানের বাবা। তারই সাথে রয়েছে পরকীয়ার প্রেমের সম্পর্ক। পরকীয়া প্রেমের কারণে স্বপ্না গর্ভবতী হয়। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে আলমডাঙ্গা ফাতেমা টাউয়ার ক্লিনিকে প্রবাসীর স্ত্রী স্বপ্না একটি কন্যা জন্ম দিয়েছেন। স্বপ্না ও তার সদ্য কন্যা সন্তান সুস্থ আছেন বলে সূত্রে জানাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সোহেল পরকীয়া প্রেম ও সন্তানের ব্যাপার অস্বীকার করেছেন। নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দারুস সালামের কাছে জানতে চাইলে ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে তিনি মাথাভাঙ্গাকে বলেন, স¦প্না এখন পর্যন্ত সোহলকে তার সন্তানের পিতা বলে দাবি করে আসছে।