চুয়াডাঙ্গা লেখক সংঘ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনীতে প্রমিত বাংলা চর্চায় সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা লেথক সংঘ পেতে যাচ্ছে স্থায়ী ঠিকানা। এ সংগঠন আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনীতে যতো দ্রুত সম্ভব স্বল্প ভাড়ায় সরকারি কোয়াটার বরাদ্দের যেমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, তেমনই বিশেষ বক্তা প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদীও সকল প্রকারের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিনও বাংলা ভাষায় বিকৃত রুখতে সুস্থ ধারার সাহিত্য চর্চায় সব সময়ই পাশে আছেন এবং থাকবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করেছেন।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ফেরিঘাট রোডস্থ শিশুস্বর্গে জেলা লেখক সংঘ আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, প্রধান বক্তা ছিলেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিন ও বিশেষ বক্তা ছিলেন চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদী। সভাপতিত্ব করেন লেখক সংঘের সভাপতি ডা. শাহিনুর হায়দার। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে প্রমিত বাংলা চর্চায় সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলা সাহিত্য পাঠ করলে জ্ঞানের সকল শাখায় বিচরণ করা যায়। বাংলা ভাষা একটি বৈজ্ঞানিক ভাষা। প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে বলেন, কবি কাজী নরজরুল ইসলামের লেখনি ছিলো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রেরণা। বাংলা ভাষা জনসংখ্যার দিক দিয়ে ৭ম হলেও শ্রেষ্ঠত্ব ও উৎকর্ষতার দিক দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয়। বিশেষ বক্তা দেশ বিদেশের খ্যাতিমান অর্থোপেডিক ট্রমা, স্পাইন সার্জন ডা. মাহমুব হোসেন মেহেদী তার বক্তব্যে বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ভাষণই নয়, শ্রেষ্ঠ কবিতা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিয়েকটি দেশের বহুল প্রচারিত গণমাধ্যমও এ স্বীকৃতি দেয়। দেশকে ভালোবাসতে হলে অবশ্যই সর্বপ্রথম দেশের বা জাতির নিজস্ব ভাষার প্রতি দরদী হতে হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা লেখক সংঘ তৃণমূলপর্যায়ের লেখকদের নিয়ে যে সাহিত্য চর্চায় মেতেছে তা ওই দেশত্ববোধ জাগিয়ে তোলারই নমুনা। এ কর্মকা- অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। বর্তমান সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে শুধু উন্নয়নে নয়, সুস্থ ধারার সাহিত্য চর্চার প্িরবেশ গড়তেও বদ্ধ পরিকার। দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছ।
জেলা লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক কবি ময়নুল হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন হারদীর এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওমর ফারুক, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. এমএ রশিদ. দর্শনা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক এমএ গফুর, জেলা লেখক সংঘের সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ আলী, রবিউল হোসেন সুকলাল, আবুল কাশেম মাস্টার, সুরেশ কুমার আগরওলা পিণ্টু। বক্তব্য রাখেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার বার্তা সম্পাদক ছড়াকার আহাদ আলী মোল্লা, সংঘের যুগ্মসম্পাদক আব্দুল আলিম, সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের চুয়াডাঙ্গা প্রিন্সিপাল কমিটির সভাপতি নাজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ। আলোচনাপর্বের প্রথমেই আহম্মদ আলীর সদ্য প্রয়াত স্ত্রীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এ সময় সংঘের প্রতিষ্ঠতা প্রয়াত অ্যাড. কাজি গোলাম মোস্তফা হায়দার ও প্রায়ত ডা. ওয়াহেদ আশরাফ দেলওয়ারেরও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মো. আরিফুল ইসলাম হাওলাদার।
আলোচনাপর্ব শেষে সহিত্য পাঠের আসর ‘প্রতিধ্বনি’ অনুষ্ঠিত হয়। জয় গোস্বামীর ‘মালতিবালা বালকা বিদ্যালয়’ কবিতাটি আবৃতি করেন গল্পকার কবি মোহনা হাসান প্রেমা, স্বরিচত লেখা উপস্থাপন করেন ডা. শাহিনুর হয়দার, আফসানা কনা, হেলাল হোসেন জোয়ার্দ্দার, বাপ্পা কুণ¦ড, আহম্মদ আলী, কুদ্দুস আলী, শাহাবুদ্দিন, মাহির তাজহওয়ার, হাবিবুর রহমান, শাপলা, মঞ্জুরুল হক, গোলাম রহমান চৌধুরী, ওমর ফারুক, আকলিমা খাতুন, শামিমা আক্তার, অভ্র ওয়াসিম লাম, অশোক দত্ত, অসিকুজ্জামান, রহমত বিশ্বাস, আব্দুল আলিম, ইদ্রীস ম-ল, নিশাত শারমিন, আমান উল্লাহ, সাবিনা ইয়াসমিন, জহুরুল, শরিফ সাথী, মাইবুর রহমান মিণ্টু, আবুল কালাম আজাদ, অন্তু, জুবায়ের হাসান, তাপস, টিপু সুলতান, মনিরুজ্জামান, অনুরাগী, রঘুনাথ পালণ প্রমুখ।