কুষ্টিয়ায় দুই চেয়ারম্যানসহ ৪শ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দুজন নিহত ও ২০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বাখইল গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার এসআই কমলেশ দাস বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ড এবং পুলিশকে মারপিট ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অপরাধে ১শ জন এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত নামা আরও ৩শ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

এদিকে শুক্রবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিহত দুই আওয়ামী লীগ সমর্থক এনামুল ও বিল্লালের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে বাদ জুম্মা জানাজা শেষে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বাখইল মধ্যপাড়া গ্রামে দুজনকেই তাদের নিজ নিজ পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয়। সংঘর্ষের পর থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ১১ জনসহ প্রায় ৩০ জনকে পুলিশ আটক করেছে। আটকের তালিকায় ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কেরামত আলীও রয়েছেন। তবে সংঘর্ষের ঘটনার অপর অংশের নেতা ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আ.লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান বখতিয়ার রহমানকে পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি। এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে ভয় ও আতঙ্কে ওই এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। ওই এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কেরামত আলী ও সাবেক চেয়ারম্যান বখতিয়ার রহমান গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের সমর্থক বাখইল গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩২) এবং একই গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে এনামুল হোসেন (৩৫) নিহত হন।

এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন। নিহত বিল্লাল হোসেন কেরামত গ্রুপের ও এনামুল বখতিয়ার গ্রুপের সমর্থক। এ ঘটনায় ওই দিনই পুলিশ ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কেরামত আলীসহ ১৩ জনকে আটক করে।