হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত আলমডাঙ্গা ডিসি ইকোপার্কের জমি ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় ডিসি ইকোপার্ক নির্মাণের ক্ষেত্রে আবারও দেখা দিয়েছে আশার আলো

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার জামজামি-সোহাগপুর মাঠে ডিসি ইকোপার্কের ৫২ বিঘা জমি ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়েছে। ফলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া নির্মিতব্য ডিসি ইকোপার্ক নির্মাণের ক্ষেত্রে আবারও আশার আলো দেখা দিয়েছে। এ বছরের প্রথমেই জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গায় ডিসি ইকোপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রাম সংলগ্ন যমুনা মাঠে ৫২ বিঘা ওয়াবদার জমিতে এ ইকোপার্ক নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। এই জমি এতোদিন স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দখলে ছিলো। বৃহৎ এই জমিতে এক সময় ওয়াবদার ইটভাটা ছিলো। ওয়াবদার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে ওই বৃহৎ সম্পত্তি এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি লিজ নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন। এই বছরের প্রথমেই ইকোপার্ক নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রশাসন ওই জমি অবৈধ দখলমুক্ত করে। অবৈধ দখলমুক্ত বিস্তীর্ণ জমিটি জেলা প্রশাসকের মনপুত হয়। তিনি এখানেই ইকোপার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন। নামকরণ করেছেন ডিসি-ইকোপার্ক। খুব দ্রুত কাজও শুরু হয়। মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয়। প্রত্যাশিত গতিতে ইকোপার্কের নির্মাণের কাজ শুরুর বিষয়টি আসলে সে সময় প্রশাসনের আন্তরিকতার গাঢ়ত্বের পরিচায়ক বলেই ভেবেছিলো এলাকাবাসী। ইকোপার্ক নির্মাণ কাজ দেখভাল করতেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান। নিয়মিত পরিদর্শন করতেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। পরিদর্শন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ও জেলা পরিষর চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন।
এরই মাঝে গত ৬ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন ভোদুয়া-সোহাগপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও কেরামত আলী ম-ল নামে দুই কৃষক। পরে কৃষি জমিতে ডিসি ইকোপার্ক নির্মাণে হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সুপ্রিমকোর্টের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ডিসি ইকোপার্ক নির্মাণের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই মুখ থুবড়ে পড়ে। নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে ওয়াবদার অধিগ্রহণকৃত ইকোপার্কের ওই জমি ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়। ইকোপার্কের নির্দিষ্ট জমি ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় আর আইনি বাধা নেই। ফলে নতুন করে ইকোপার্ক নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a comment