দামুড়হুদার কলাবাড়ি গ্রামে দু বছরের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার সাড়ে তিন মাসের মাথায় লাশ উত্তোলন

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কলাবাড়ি গ্রামে দু বছরের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার সাড়ে তিন মাসের মাথায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আকতারের উপস্থিতিতে সিআইডির এসআই আবু জাহের ভুইয়া ওই লাশ উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় নিহত শিশুকন্যার মায়ের দায়ের করা হত্যা মামলায় ৪ জনের নিহত শিশুর দাদি ফুলজান বেগম এবং বড় চাচা আরিফিন এক মাস জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হলেও পিতা ইমরান এবং চাচি জোসনা পলাতক রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কলাবাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ইমরানের একই উপজেলার ছুটিপুর গ্রামের আজাদ আলীর মেয়ে আসমানি খাতুনের সাথে প্রায় ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের একযুগ পর অর্থাৎ ২০১৫ সালে গৃহবধূ আসমানি খাতুন এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। নাম রাখা হয় জুলি খাতুন। শিশুকন্যা জুলি খাতুন জন্মের ২ বছরের মাথায় ২১ মে বেলা ১১টার দিকে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ওই সময় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয় এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করা হয়। ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় মা আসমানিকে দায়ী করে তাকে তালাক দেয় স্বামী ইমরান। এ ঘটনার কিছুদিন পর মা আসমানি খাতুন বাদী হয়ে স্বামী ইমরান, শাশুড়ি ফুলজান বেগম, ভাসুর আরিফিন ও তার স্ত্রী জোসনাকে আসামি করে আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। আদালতের নিদের্শে গত ৩ আগস্ট দামুড়হুদা থানা পুলিশ তা হত্যামামলা হিসেবে রুজু করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আসাদ গত ৫ আগস্ট আসামি শাশুড়ি ফুলজান বেগম এবং ভাসুর আরিফিনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এক মাস জেলহাজতে থাকার পর সম্প্রতি উভয়ই জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। মামলাটি পরবর্তীতে অর্থাৎ গত ৩১ আগস্ট সিআইডির নিকট হস্তান্তরিত হয়। চুয়াডাঙ্গা সিআইডির এসআই আবু জাহের ভুইয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে গতকাল ওই শিশুকন্যার লাশ (কঙ্কাল) কবর থেকে উত্তোলন করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু জাহের ভুইয়া বলেন, লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত শেষে ভিকটিমের দাদা রবিউলের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a comment