টাঙ্গাইলে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ১১

স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই পরিবারের ১১ জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ক্ষুদিরামপুরে বাসাইল লিঙ্ক রোডের মোড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রথমে মাইক্রোবাস থেকে চারজনের লাশ ও আহত বের করা সম্ভব হয়। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা  দ্রুত আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। পরে মাইক্রোবাসের ভেতর  থেকে পরে আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট জাহাঙ্গীর আলম জানান, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস বাসাইল লিঙ্ক রোডের মোড়ে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের পাঁচ যাত্রী ও টাঙ্গাইল জেনারেল  হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। ঢাকায় পাঠানোর পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাঁশতৈল খালপার গ্রামের হাবিল উদ্দিনের ছেলে ও ঢাকার আজিমপুরে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের প্রতিষ্ঠান নিপোর্টের কর্মী মনিরুজ্জামান রতন তার নিজের ও শ্বশুরের পরিবারের লোকজন নিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। দুর্ঘটনায় মনিরুজ্জামান রতনের মা মমতাজ বেগম (৫৫), ছেলে রেজভী (১০), শ্বশুর কছিম উদ্দিন (৫৮), শাশুড়ি হাজেরা বেগম (৫২), শ্যালক রায়হান উদ্দিন শুভ (২৫)  ঘটনাস্থলে নিহত হন। ঢাকায় নেয়ার পথে মনিরুজ্জামান রতনের স্ত্রী তাহমিনা বেগম সোমার (৩০) মৃত্যু ঘটে। টাঙ্গাইল জেনারলে হাসপাতালে ভর্তি করার পর আরও তিনজন মারা যান।  হাসপাতালে মারা যাওয়া তিনজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরুজ্জামান রতন, তার ভাই সাইফুল ইসলাম পাপন ও শ্যালিকা সম্পা এবং মাইক্রোবাসের চালক বুলু মিয়াকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মনিরুজ্জামান রতনের চাচাতো ভাই আফাজ উদ্দিন এসে ৬ জনের লাশ শনাক্ত করেন। বাকি তিনটি লাশ মনিরুজ্জামানের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের হওয়ায় তিনি শনাক্ত করতে পারেননি।

Leave a comment