জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধীও পেলো সুস্থতা
স্টাফ রিপোর্টার: কোমরের অস্থিসন্ধি নষ্ট হয়ে চলাফেরা বন্ধ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকা কিশোর অপূর্ব কুমার দাস অবশেষে সুস্থতা পেয়েছে। ওর শরীরে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টারও অধিক সময় ধরে অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করে তোলার পর স্বস্তির শ্বাস ছাড়েন চুয়াডাঙ্গার কৃতীসন্তান প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী। এটা তার আরও একটা সফলতা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ইসলামপাড়ার এক সময়ের বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র দাস ও তার ছেলে অপূর্ব কুমার দাস (১৬) বহুদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ বাবুখালীতে বসবাস করে আসছেন। তারই ছেলে অপূর্ব। নাম অপূর্ব রাখা হলেও সে জন্ম থেকেই ছিলো শারীরিক প্রতিবন্ধী। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, ওকে সুস্থ করার জন্য দেশের ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহু চিকিৎসকের নিকট নেয়া হয়। সুস্থতা না পেয়ে এক প্রকার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। শেষ চেষ্টা হিসেবে দেশ-বিদেশে খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদীর নিকট নেয়া হয়। চিকিৎসক বলেছেন, রোগী অপূর্ব কুমার দাসের শারীরিক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যখন দেখা যায়, ওর কোমরের অস্থিসন্ধি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। মূলত এ কারণেই সে বিকলাঙ্গ। গবেষণা করে অপারেশনের কথা রোগীর অভিভাবকদের জানাই। যেহেতু জটিল ও ব্যয়বহুল অপারেশন সেহেতু অপূর্বর বাবা পূর্ণচন্দ্র দাস ও মা গঙ্গারানী দাস দরিদ্র। জুতো তৈরির কারখানার শ্রমিক। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, অর্থাভাবে ছেলেকে আমরা সুস্থ করতে পারবো না? কষ্টের এ কথা শুনে আত্মমানবতার সেবায় নিয়োজিত ডা. মেহেদী নিখরচায় অপারেশনসহ যাবতীয় চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, অপারেশন যেহেতু জটিল সেহেতু প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। শুধুমাত্র রক্ত জোগাড় করো।
অপূর্বের বাবা-মা আত্মীয়স্বজন রক্তের জোগান দিলেন, অপারেশনসহ যাবতীয় চিকিৎসা দিতে শুরু করলেন চিকিৎসক। সুস্থ হয়ে উঠলো জন্মগত প্রতিবন্ধী অপূর্ব। সে এখন হাঁটে, চলাফেরা করতে পারে। এ ধরনের রোগীর অপারেশন দিয়ে সুস্থ করে তোলার বিষয়টি আমাদের দেশে বিরল। এ বিষয়ে ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেন, সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টিকর্তার। এ সফলতা আমার মরহুম পিতা-মাতার জন্য উৎস্বর্গ করছি। একই সাথে এ ধরনের সফলতার জন্য প্রাণপ্রিয় এলাকাবাসীর দোয়া প্রত্যাশী।
চুয়াডাঙ্গার কৃতীসন্তান দেশের খ্যাতনামা চিকিৎসকের আরো একটি সাফল্য
