Untitled

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভেস্তে গেলো শঙ্করচন্দ্র গ্রামের উম্মে সুলতানার বাল্যবিয়ে
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ভেস্তে গেলো উম্মে সুলতানার (১৬) বাল্যবিয়ে। সে চুয়াডাঙ্গা সদরের শঙ্করচন্দ্র গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেলো মেয়ের পিতা জাহাঙ্গীর আলম।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনসূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা পদ্মবিলা ইউপির নফরকান্দি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে ফারুক হোসেন সাথে শঙ্করচন্দ্র গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে উম্মে সুলতানার বিয়ের দিন ধার্য ছিলো। ধুমধামের সাথে চলছিলো বিয়ের আয়োজন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৃনাল কান্তি দে’র নির্দেশে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলক কুমার ম-ল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেলা ১২টার দিকে শঙ্করচন্দ্র গ্রামে মেয়ের বাড়িতে হাজির হন। এ সময় মেয়ের পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনের সাথে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝালে মেয়ের পিতা বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করে দেন এবং তার মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের এএসআই বেলাল হোসেন, ইউপি সদস্য শওকত মাহাম্মুদ, সচিব জিয়াউর রহমান জিয়া।