চলন্ত বাসে পাশাপাশি আসনে য্বুক-যুবতীর চুটিয়ে গল্প। একপর্যায়ে ঝগড়া। তারপর? যুবকের আগ্রাসী আচরণ। কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র চাকু দিয়ে যুবতীকে উপর্যুপরি আঘাত। রক্তাক্ত যুবতী নিজেকে পুলিশ কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে সহযোগিতা চাইলে বাসের সহযাত্রীরা যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে রাখা হয়েছে জেলহাজতে।
যুবক-যুবতী দুজনের দু রকম বক্তব্য হলেও ওরা যে পূর্ব পরিচিত এবং সেই পরিচয়ের গভীরতা বাড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। যুবকের দাবি, তাদের মধ্যে প্রেমসম্পর্ক বহুদিনের। আর যুবতীর দাবি ভাইয়ের বন্ধু হিসেবে পূর্ব পরিচত হওয়ার সুবাদে যশোর থেকে এক সাথে বাসযোগে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্য রওনা হই। পথিমধ্যে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তাতে সাড়া না দিলে কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র চাকু দিয়ে বাসের বহুযাত্রীর সামনেই আঘাত করে। রক্তাক্ত জখম হলে বাস যাত্রীরাই যুবককে আটক করেন। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
যুবতীর বাড়ি যশোরের কেশবপুরে। আর যুবকের রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলায়। যুবতী পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত। যুবক নিজেকে ছাত্র বলে পরিচয় দিলেও ব্যবসার সাথে জড়িত বলে দাবি করেছে। দুজনের দাবি যাই হোক, চলন্ত বাসে যুবতীকে ছুরিকাঘাত মানে ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত বলেই প্রতীয়মান হয়। কেননা, কোনো ব্যক্তির কাছে সব সময় ধারালো অস্ত্র থাকার কথা নয়, থাকে না। যখন ছিলো তখন তা নিশ্চয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই তা রেখেছে। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন। পুলিশ সদস্য হলেও পুলিশি তদন্তে পক্ষপাতিত্ব নয়।
ফেসবুক, সেলফোনসহ যোগাযোগ মাধ্যম এখন এতোটাই সহজ হয়েছে যে, কারো হারানোরও জো নেই। এই সুযোগে বন্ধত্বের ঘনত্বও আপত্তিকর পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে সহজে। ফলে মোহ থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য অবশ্যই সতর্ক হওয়া দরকার। কে প্রতারক, কে কোন উদ্দেশে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে তা না বুঝে হাত মেলালেই সর্বনাশ। বাসে ছুরিকাঘাত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক।
পুনশ্চঃ তুমি সুজন দেইখা কইরো পিরিত মরলে যেনো ভোলে না দরদী………..।