মিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় রাসায়নিক বিস্ফোরণ

ঢাকা অফিস: ঢাকা ও টাঙ্গাইলে পৃথক দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। রাজধানীর দারুস সালাম থানার বর্ধনবাড়ী এলাকায় ১৬ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর জেএমবির আব্দুল্লাহ তার দুই স্ত্রীসহ সপরিবারে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। জঙ্গি আব্দুল্লাহর বাড়ি  একটি সূত্র চুয়াডাঙ্গায় বলে জানালেও তার সত্যতা ও বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক বাড়িতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) রাতভর অভিযান চালিয়ে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে। নুরুল হকের নানাবাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে। তিনি নিজেও ঘাটাইলে বিয়ে করেছেন। ছোট ভাই মাজহারুল ইসলাম খোকন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশল বিভাগে বিএসসি পাস করেন। বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে কম্পিউটারের ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন। খোকন মেহেরপুরে তার বাবার এক মুরিদের মেয়েকে বিয়ে করেছেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ঢাকা মিরপুরের বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে আবদুল্লাহ (৪২) নামে  এক জঙ্গি, তার দুই স্ত্রী, দুই সন্তান ওমর (১০) ও ওসামা (৩) ও দুই সহযোগীসহ মোট সাতজন অবস্থান করছে বলে জানতে পেরেছি। আব্দুল্লাহর প্রতিবন্ধী বোন মেহেরুন্নেসাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, কেমিকেল, পেট্রোল, ৫০ টির অধিক আইইডি (ইমপ্রোভাইসড ইলেকট্রনিক ডিভাইস) ও পিস্তল রয়েছে। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের দক্ষিণে বাড়িটি অবস্থান। স্থানীয় সূত্রের দাবি, বাড়ির মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদ পলাশী টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কর্মচারী হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ঝিনাইদহের শৈলকূপায় তার বাড়ি। ২০০৯ সালের আগে তিনি জামায়াত ইসলামীর রোকন ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানায়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আব্দুল্লাহ ১২ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করেন। এলাকায় তিনি আইপিএস তৈরি করেন। তিনি কবুতর পালন করেন। র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আইপিএস তৈরি করার জন্য আব্দুল্লাহ হয়তো এসিড সংগ্রহ করেছেন। পেট্রোল বোমায় এসিড মিশ্রিত করার কারণে বোমাগুলোর ক্ষমতা হয় ভয়ঙ্কর। সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়ি থেকে আব্দুল্লাহ তার বোন মেহেরুন্নেসাকে বের করে দেন।